বাইকপ্রেমীদের জন্য বাজারে এলো উড়ন্ত বাইক

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২১, ১১:৩৩ এএম

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বাইকপ্রেমীদের জন্য সুখবর নিয়ে এলো জাপানের এক বাইক প্রস্তুতকারী সংস্থা এএলআই টেকনোলজি। টোকিওভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানটি বাজারে নিয়ে এলো হোভারবাইক বা উড়ন্ত বাইক। তবে প্রথম দিকে শুধু জাপানের আকাশেই দেখা যাবে উড়ন্ত বাইকের।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদ্যুৎচালিত একেকটি উড়ন্ত বাইকের দাম পড়বে ছয় লাখ ৮০ হাজার ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ছয় কোটি টাকা। তবে এখন শুধু প্রি-অর্ডার করা যাবে। একেকটি উড়ন্ত বাইকের ওজন ৩০০ কেজি। প্রতিটি উড়ন্ত বাইকে আছে একটি গতানুগতিক শক্তিশালী ইঞ্জিন ও ব্যাটারিচালিত চারটি মোটর।

দেশটির একটি স্টার্ট-আপ প্রতিষ্ঠান এএলআই টেকনোলজির উদ্যোগে ঘটল নজিরবিহীন এ ঘটনা। সাধারণ মোটরবাইক ব্যবহারকারীদের নিজেদের দুই চাকার যান বদলে উড়ন্ত বাইক ব্যবহারে রাজি করানোর চেষ্টা করছে প্রতিষ্ঠানটি। টোকিওভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটির পেছনে রয়েছে বহুজাতিক ইলেক্ট্রনিক কোম্পানি মিৎসুবিশি ও ফুটবলার কেইসুকে হোন্ডা।

এএলআই টেকনোলজিস জানিয়েছে, একবার পূর্ণ চার্জের পর একেকটি হোভারবাইক ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১০০ কিলোমিটার গতিতে ৪৯ মিনিট পর্যন্ত উড়তে পারবে। ২০২২ সালের মাঝামাঝি এক আরোহী বহনে সক্ষম ২০০টি হোভারবাইক উৎপাদন করতে চায় প্রতিষ্ঠানটি।

এএলআই টেকনোলজিসের প্রধান নির্বাহী দাইসুকে কাতানো বলেন, এখন পর্যন্ত হোভারবাইক শুধু সড়কে চলতে আর আকাশে উড়তেই সক্ষম। চলাফেরায় নতুন কিছু মাত্রা যোগ করার বিষয়েও আমরা আশাবাদী। বিশেষ করে দুর্গম এলাকায় বিভিন্ন দুর্যোগ ও দুর্ঘটনায় আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধারে উদ্ধারকর্মীরা উড়ন্ত বাইক ব্যবহার করবেন বলে মনে করেন তিনি।

বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ নগরী হিসেবে জাপানের টোকিও বেশ পরিচিত। এই নগরীর বড় সমস্যা মানুষের ভিড়। এখানে বাস করে এক কোটি ৩৫ লাখ মানুষ। তাই যানজটের সমস্যা থেকেও মুক্তি দেবে এই বাইক, এমনটা আশা করছেন বিশ্বের অটো-এক্সপার্টরা।

তবে জাপানের ব্যস্ত সড়কের ওপর দিয়ে উড়ন্ত বাইক চলাচলে এখনও অনুমতি দেয়নি জাপান সরকার। তবে আশানুরূপ বাইক বিক্রির পাশাপাশি অনুমোদন পাওয়াসহ বিদ্যমান সব জটিলতা কাটিয়ে ওঠার বিষয়ে আশাবাদী হোভারবাইকের নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh