বনের আয়তন বাড়াতে হবে

লিয়াকত হোসেন খোকন

প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২১, ০১:১৭ পিএম

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বন বলতে আমরা বুঝি, যেখানে ঢুকতে সহজে সাহস পায় না সাধারণ মানুষজন। সুন্দরবনও তো তাও নয় আজ। লোকজন ঢুকছে, মধু সংগ্রহ করছে, মাছ ধরছে এবং আরো কত কী করছে। বিখ্যাত বাণীশান্তাও সুন্দরবন ঘেঁষে রয়েছে। মানুষ চাষযোগ্য জমি আর বসতি গড়ে গড়ে বনাঞ্চল করে দিয়েছে উজাড়। একসময় সবুজের সমারোহ ছিল পার্বত্য চট্টগ্রাম আর সিলেটের জঙ্গলগুলিতে। পাখিদের কলতান, বন্যপ্রাণীর আনাগোনা ও পরিপূর্ণ অক্সিজেনে মানুষের মন ও ফুসফুস উভয়ই থাকত সতেজ।

শুধু বাংলাদেশের বনাঞ্চল ধ্বংস হয়নি, বিগত কয়েক বছরে বিশ্বের সবচেয়ে সংরক্ষিত বেশ কয়েকটি বন প্রায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। যে কারণে বিশ্বব্যাপী বৈশ্বিক উষ্ণতা, দাবানল ও খরার প্রভাবে জঙ্গলগুলি এখন গাছশূন্য ফাঁকা জমিতে পরিণত হয়েছে। একদা অক্সিজেনের ভাণ্ডার জঙ্গলগুলি এখন এক একটা কার্বন বোমা। বাংলাদেশের মতো পৃথিবীর অন্যান্য দেশের বনাঞ্চল কমে যাওয়ার মূল কারণ হলো কৃষিজমির সম্প্রসারণ, অবৈধ কাঠ সংগ্রহসহ মানুষের সৃষ্টি করা চাপ।

কপ-২৬ শীর্ষ জলবায়ু সম্মেলনকে সামনে রেখে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে ক্যালিফোর্নিয়ার ডেথ ভেলি থেকে মধ্যপ্রাচ্য, ভারত-বাংলা থেকে আফ্রিকার সাব সাহারা অঞ্চল পর্যন্ত জীবন ইতিমধ্যে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের গতি থামাতে এখনই যদি কিছু না করা হয়, তাহলে শীঘ্রই আরো ভয়ানক দাবানলের মুখে পড়বে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ।

বিশ্ব কী করবে, সে অপেক্ষায় থেকে লাভ নেই। আমাদের বড় বড় শহরগুলির ফুটপাতে শাল, সেগুন, তাল, নারকেলসহ বিভিন্ন ধরনের গাছ লাগানোর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। নদীর তীরে তীরে, খালের পাড়ে পাড়ে তাল, সুপারি, কদম, আম, জাম, নারকেল, ডুমুর, হিজল গাছ লাগানো শুরু হোক। চাষাবাদের এক ইঞ্চি জমি যাতে আবাসন নির্মাণের জন্য চলে না যায়, এজন্য কঠোর নজরদারি চাই। সেইসঙ্গে উপকূলে ও দ্বীপাঞ্চলে বনাঞ্চল গড়ে তোলা হোক।


লিয়াকত হোসেন খোকন , রূপনগর, ঢাকা

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh