সব্যসাচী
প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২১, ০৯:০৯ এএম
ছবি: সংগৃহীত
স্টার সিনেপ্লেক্সে চলছে ‘ডিউন’। ফ্র্যাঙ্ক হার্বার্টের ১৯৬৫ সালের উপন্যাস ডিউন অবলম্বনে একই নামে বড় পর্দার জন্য সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন অস্কার মনোনীত পরিচালক ডেনিস ভিলেনিউভে।
সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন টিমোথি চালামেট, রেবেকা ফার্গুসন, অস্কার আইজ্যাক, জোশ ব্রোলিন, স্টেলান স্কার্সগার্ড, ডেভ বুটিস্টা, চ্যাং চেন, জেনডায়া, স্টিফেন ম্যাককিনলি হেন্ডারসন ও অস্কারজয়ী জ্যাভিয়ের বারডেমসহ আরও অনেকে। টিমোথি ও জেনডায়ার রসায়ন দেখে মুগ্ধ দর্শক।
পুরো দু’ঘণ্টা একের পর এক নতুন চরিত্র হাজির হয় সামনে, শ্বাসরুদ্ধকর ভিজ্যুয়াল, মহাকাব্যিক যুদ্ধের দৃশ্য আর এমন কিছু দানবীয় চরিত্র, যা আগে কখনো দেখা যায়নি। সেইসঙ্গে প্রেরণামূলক কথাগুলো দাগ কাটে দর্শকের মনে। ছবিতে টিমোথির নাম পল অ্যাট্রেইডেস। এমন কিছু ক্ষমতা ও আশীর্বাদ নিয়ে তিনি জন্ম নিয়েছেন, যা তার নিজেরই অজানা। মহাবিশ্বের সবচেয়ে ভয়ংকর গ্রহে তাকে সংগ্রাম করতে হবে তার পরিবার ও নিজের লোকদের রক্ষা করতে। এটাই এখন বিস্ময়ের সঙ্গে দেখার বিষয়, কীভাবে মানসিকভাবে উদ্দীপিত এ নায়ক মানুষের সর্বোচ্চ ক্ষমতা অর্জন করতে পারে। আর তা হলো, নিজের ভয়কে জয় করে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা। ডিউক লেটু বিপজ্জনক মরু গ্রহ আরাকাইসের সেবার দায়িত্ব গ্রহণ করেন, যেটি কেবল মহাবিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান এক পদার্থের একমাত্র উৎস। যা মানব জীবনকে দীর্ঘায়িত করে এবং মানব চিন্তাশক্তির স্তরকে প্রসারিত করে।
লেটু যদিও জানত যে, এই সুযোগটি তার শত্রু হারকুনেন্স দ্বারা তৈরি একটি ফাঁদ। তবুও তিনি তার উত্তরাধিকারী ছোট ছেলে আরাকাইসের সবচেয়ে বিশ্বস্ত উপদেষ্টা ডিউন হিসেবে পরিচিত পল এবং পলের দৈব মাতা ও লেটুর উপপত্নী লেডি জেকিকাকে সঙ্গে নেন। লেটু সেই মূল্যবান পদার্থের খনির কার্যভার নিয়ন্ত্রণ করেন, যাতে দৈত্য স্যান্ডওর্মসের উপস্থিতিতে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিপুল রহস্যময়তা আর টানটান উত্তেজনায় ঠাসা ‘ডিউন’ দর্শকদের আকাঙ্ক্ষা পূরণে সক্ষম হবে এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে।
ছবিটি দেখে যারা হল থেকে বের হয়েছে, প্রত্যেকেই বলেছেন, বৈচিত্র্যময় এক ছবি দেখলেন। সংলাপ বুঝতেও তাদের কোনো অসুবিধা হয়নি। একদম শেষ দৃশ্য পর্যন্ত কানায় কানায় পরিপূর্ণ ছিল স্টার সিনেপ্লেক্স।