সেন্টমার্টিনের প্লাস্টিক বর্জ্যে তৈরি হবে বার্জ

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২১, ০৪:৩৯ পিএম

তৃতীয়বারের মতো চলা ‘সেন্টমার্টিন ও ছেড়াদ্বীপ পরিচ্ছন্নতা অভিযান ২০২১’-এ ছিলেন ৪০ জন স্বেচ্ছাসেবক

তৃতীয়বারের মতো চলা ‘সেন্টমার্টিন ও ছেড়াদ্বীপ পরিচ্ছন্নতা অভিযান ২০২১’-এ ছিলেন ৪০ জন স্বেচ্ছাসেবক

দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে। বিনোদনেরও অন্যতম প্রাণকেন্দ্র সেন্টমার্টিন। প্রতি বছর অসংখ্য পর্যটকে মুখরিত হয় দ্বীপটি। নিজেকে ভালো রাখার মতো করে যে পরিবেশকেও রাখতে হয়, সে বিষয়ে বেশিরভাগ পর্যটকই পিছিয়ে আছে। তারা যেখানে-সেখানে ফেলছে বর্জ্য, যার মধ্যে প্লাস্টিকের পরিমাণ বেশি।

এসব প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হবে দেশের প্রথম বার্জ। আর এটি করতে ফেসবুকের ভ্রমণ বিষয়ক গ্রুপ ট্রাভেলার্স অব বাংলাদেশের (টিওবি) সাথে যুক্ত হয়েছেন জায়েদ খান খালেদ নামে এক ব্যক্তি। এক দশক ধরে ট্যুরিজমের সাথে জায়েদ ঢাকার অদূরে একটি কায়াকিং ও ক্যাম্পিং সাইটের জন্যই তৈরি করবেন এই বার্জ। টিওবি মূলত ১০ লাখেও বেশি সদস্যের সমন্বয়ে ভ্রমণভিত্তিক একটি ফেসবুক গ্রুপ। গ্রুপটির সংগঠকরা সারা বছর বিভিন্ন ইভেন্ট খুলে সদস্যদের নিয়ে দেশের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরে বেড়ায়।

গত ২৯ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর চলে টিওবির ‘সেন্টমার্টিন ও ছেড়াদ্বীপ পরিচ্ছন্নতা অভিযান ২০২১’। তৃতীয়বারের মতো আয়োজিত এ অভিযানে ছিলেন ৪০ জন স্বেচ্ছাসেবক। তারা ১২২টি বস্তায় পর্যটকদের ফেলে আসা ৭৪০ কেজি প্লাস্টিক বর্জ্য ও অন্যান্য নন-বায়োডিগ্রেডেবল পণ্য অপসারণ করেন। এছাড়াও পাঁচ জন মিলে তৈরি করেন একটি প্রতীকী বিন।


টিওবির সমন্বয়ক নিয়াজ মোর্শেদ সাম্প্রতিক দেশকালকে বলেন, ‘আমরা ভ্রমণ আনন্দের সাথে পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়ে বেশ সচেতন। যেখানেই ট্যুরে যাই, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে আমাদের আলাদা ব্রিফিং থাকে।’

কবে থেকে এই কার্যক্রমের সাথে জড়িত- এমন প্রশ্নে নিয়াজ বলেন, ‘২০১৭ সাল থেকে ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি সামাজিক দায়িত্ব থেকে আমাদের এই অভিযান। আগে অপসারণ করা প্লাস্টিকগুলো বিভিন্ন রি-সাইকেল কোম্পানিকে নামমাত্র মূল্যে দিয়ে দেয়া হতো। এবার ভ্রমণপ্রেমী জায়েদ খান খালেদ এসব বর্জ্য দিয়ে বার্জ বানানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। আমরা বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছি।’


পর্যটন স্থানগুলোতে ভ্রমণের পাশাপাশি সাধ্যমতো পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানোই ‘রেসপন্সিবল ট্যুরিজম’র মূল উদ্দেশ্য। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত যেসব মানুষ আনন্দ ভ্রমণে যান, তারা যদি নিজেদের আবর্জনা নিজে পরিষ্কার করতেন; তাহলে পরিবেশটা আরেকটু হলেও ভালো থাকতো- যোগ করেন নিয়াজ।

জানা গেছে, এসব বার্জ দিয়ে চাইলে তাঁবু বিছিয়ে নদীর ওপর থাকার ব্যবস্থাও করা যাবে। এছাড়া নেট ও র‌্যাপআপ করে এমনভাবে বানানো হবে, এর ভেতরের প্লাস্টিক বের হবে না আবার বুঝাও যাবে না।


এর আগে গত ৪ থেকে ৬ অক্টোবর সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের ফেলে রাখা ৫৫৫ কেজি প্লাস্টিক বর্জ্য পরিষ্কার করে বেশ প্রশংসিত হয়েছিলো টিওবির সদস্যরা। ২০১৮ সালে সংখ্যাটা ছিলো ১৯৪ কেজি।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh