পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২১, ১১:৫০ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
পাবনার চাটমোহরের ছাইকোলা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকের চড়-থাপ্পড়ে এক শিক্ষার্থীর কানের পর্দা ফেটে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রিয়াদ হোসেন নামে দশম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী মোবাইল ফোন নিয়ে ক্লাসে প্রবেশ করায় এমন শাস্তি দেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীর বাবা গতকাল বুধবার চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও চাটমোহর থানার ওসির কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
জানা গেছে, কচুগাড়ি গ্রামের আব্দুল বাকীর ছেলে রিয়াদ হোসেনসহ দশম শ্রেণির কয়েকজন ছাত্র গত ২৭ অক্টোবর ক্লাসে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জহুরুল ইসলাম ক্লাসে গিয়ে কাদের কাছে মোবাইল ফোন আছে জানতে চান। এ সময় রিয়াদ হোসেনসহ পাঁচজন ছাত্র উঠে দাঁড়ায়। তাদের সবাইকে মারধর করেন শিক্ষক জহুরুল ইসলাম। রিয়াদ হোসেনের কানের ওপর এলোপাতাড়ি থাপ্পড় মারেন তিনি। এতে একপর্যায়ে তার কানে তালা লেগে যায়। রিয়াদ বাড়িতে গিয়ে অভিভাবকদের বিষয়টি জানায়।
রিয়াদের বাবা আব্দুল বাকী বলেন, আমার ছেলে আগে জহুরুল মাস্টারের কাছে প্রাইভেট পড়ত, এখন পড়ে না। এ রাগেই আমার ছেলেকে অমানবিকভাবে থাপ্পড় মেরেছে। ছেলে কানে শুনতে পারছে না। ছেলেকে গুরুদাসপুরে নাক-কান-গলা চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম। চিকিৎসক জানিয়েছেন, রিয়াদের কানের পর্দা ফেটে গেছে।
তিনি বলেন, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমি গতকাল চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেছি।
অভিযোগের বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জহুরুল ইসলাম বলেন, ক্লাসে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করায় ওই দিন আমি রিয়াদসহ পাঁচ ছাত্রকে মেরেছি। বিষয়টি উচিত হয়নি। হঠাৎ করেই বিষয়টি ঘটে গেছে। এর জন্য আমি অনুতপ্ত।
চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈকত ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে আমার দপ্তরে একটি অভিযোগ এসেছে। এখনো হাতে পাইনি। তবে খুব শিগগিরই তদন্ত সাপেক্ষে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।