ঘুমের মধ্যেও ওজন কমাবেন যেভাবে

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২১, ১০:০৯ এএম | আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২১, ১০:১০ এএম

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

ওজন কমাতে যে রীতিমতো কাঠখড় পোড়াতে হয়, তা সবারই জানেন। খাওয়া-দাওয়া নিয়ন্ত্রণ থেকে শরীরচর্চা— খেয়াল রাখতে হয় সব দিকেই। কিন্তু কেউ যদি আপনাকে বলেন, ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে ওজন ঝরিয়ে ফেলা যায়, তার চেয়ে বড় সুখবর কি আর কিছু হতে পারে! 

কথাটা শুনিয়েই মশকরা ভেবে উড়িয়ে দেবেন না। সত্যিই, ঘুমের মধ্যেও ওজন কমানো সম্ভব। আসলে আমরা ঘুমিয়ে থাকলেও ঘুমের মধ্যে আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রতঙ্গ তাদের মতো কাজ চালিয়ে যায়। ফলে কিছু ক্যালোরিও খরচ হয়। শরীরের এনার্জি খরচ হয়।

তাছাড়াও সারা রাত শরীরের বাড়তি পানি শ্বাস-প্রশ্বাস ও ঘামের মধ্যে দিয়ে খরচ হয়। তাই ‘ওয়াটার ওয়েট’ ঝরে যায়। সেই কারণেই সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ওজন মাপলে খানিকটা কম দেখাবে ওজন। 

এই সব কারণেই রাতের পর রাত ভাল ঘুম না হলে শুধু যে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাবে তা নয়, ওজনও বেড়ে যেতে পারে।

পর্যাপ্ত ঘুম না হলে আপনার শরীরে মানসিক চাপের হরমোন কর্টিসলের ক্ষরণ বেড়ে যায়। বেশি মাত্রায় কর্টিসল শরীরে থাকলে তা আমাদের হজমশক্তির উপর প্রভাব ফেলে। শরীরের বিপাক হারও কমে যায় এই সব কারণে। 

ঘুম কম হলে শরীরের ক্ষুধাপ্রক্রিয়ায় অন্যভাবে কাজ করে। তাই রাত জেগে থাকলে উল্টাপাল্টা খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। রক্তে শর্করা মাত্রা বেড়ে যেতে পারে এর ফলে। তাই ওজন বাড়তেও বেশি সময় লাগে না।

ঘুমের মধ্যেও ক্যালরি ঝরাবেন যেভাবে

১. যারা সন্ধ্যাবেলা শরীরচর্চা করেন, তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা রাতে কম ওঠা-নামা করে বলে দেখা গেছে। তাই ওয়েট ট্রেনিং সকালের বদলে সন্ধ্যায় করতে পারেন। শরীরের বিপাক হার শরীরচর্চার পর ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত বেশি থাকবে। তাই ঘুমের মধ্যেও শরীরে ক্যালরি বেশি খরচ হবে।

২. ক্যাসেইন প্রোটিন এক ধরনের দুগ্ধজাত প্রোটিন, যা হজম হতে অনেকটা সময় নেয়। তাই রাতে যদি এই ধরনের কোনও প্রোটিন শেক খেতে পারেন, তা হলে সারা রাত ধরে আপনার হজম প্রক্রিয়া সচল থাকবে। ক্যালরিও ঝরবে।

৩. শরীরচর্চা করার পর যদি ঠান্ডা পানিতে গোছল করতে পারেন, তাহলে শরীরে থেকে ল্যাকটিক অ্যাসিড বেরিয়ে যেতে সাহায্য করবে। আমাদের শরীরে ব্রাউন ফ্যাটের পরিমাণে খুব কম থাকে। কিন্তু এটি সক্রিয় থাকলে শরীরের বিপাক হার বেড়ে অনেকক্ষণ পর্যন্ত ক্যালরি ঝরতে পারে। ৩০ সেকেন্ড যদি বরফঠান্ডা পানিতে গোছলকরতে পারেন, তা হলে শরীরের ব্রাউন ফ্যাট সক্রিয় হয়ে ঘুমের মধ্যেও ৪০০ ক্যালোরি পর্যন্ত ঝরাতে পারে।

৪. গ্রিন টি শরীরের বিপাক হার বাড়াতে সাহায্য করে। দিনে যদি তিনকাপ চা খান, তার মধ্যে শেষ কাপটি ঘুমের আগে, তাহলে ঘুমের মধ্যে ৩.৫ শতাংশ বেশি ক্যালোরি ঝরতে পারে।

৫. ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং, যেই খাদ্যাভ্যাসে দিনে ১৬ ঘণ্টা না খেয়ে বাকি ৮ ঘণ্টা খাওয়া যায়। এতে জমিয়ে রাখা সব সুগার শেষ হয়ে গিয়ে ফ্যাট ঝরিয়ে এনার্জি পায় শরীর। তাই ঘুমের মধ্যেও অনেকটা ক্যালোরি ঝরে। -আনন্দবাজার পত্রিকা

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh