মেহেদী হাসান সোহাগ, মাদারীপুর
প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২১, ০২:০৫ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
প্রশাসন অভিযান চালিয়ে ইলিশ শিকারিদের জেল-জরিমানা ও অস্থায়ী বাজার উচ্ছেদ করলেও থামেনি ইলিশ শিকারিদের দৌরাত্ম্য। নদী ও চরগুলোতে স্থায়ীভাবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ক্যাম্প না থাকায় মাদারীপুরের শিবচর, শরীয়তপুরের জাজিরা, মুন্সীগঞ্জের লৌহজং, ঢাকার দোহার, ফরিদপুরের সদরপুর অংশের পদ্মা নদী ও চরগুলোতে প্রকাশ্যেই বিক্রি হচ্ছে মা ইলিশসহ ছোট-বড় ইলিশ। কাঁশবনের ফাঁকে অস্থায়ী তাঁবু টানিয়ে চলছে ইলিশ কেনা-বেচা।
পদ্মাপাড়ের চর ঘুরে আরও জানা যায়, পদ্মা নদীর বিস্তীর্ণ জলরাশি ও চরগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী চলে গেলেই শুরু হয় ইলিশ নিধনের মহোৎসব। চরের যে এলাকাগুলোতে সড়ক যোগাযোগ নেই, সেখানেও বসছে বাজার।
জেলে সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় আমাদের শিবচরে অনেক কড়াকড়ি থাকলেও মুন্সীগঞ্জ, জাজিরাসহ অন্য অঞ্চলে প্রশাসন ততটা কড়াকড়ি করে না। তাই আমরা ওইসব অঞ্চলে গিয়ে মাছ ধরে চরেই বিক্রি করি। শহরের কোনো হাট-বাজারে যাই না। এখানে অনেক ধরনের ক্রেতা আসে, আমরাও তাদের কাছে একটু কম মূল্যে মাছ বিক্রি করে থাকি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ক্রেতা বলেন, ‘শুনেছি পদ্মার চর মাদবরচরের খাড়াকান্দি এলাকায় কম দামে ইলিশ মাছ পাওয়া যায়। তাই ট্রলারে ভেঙে ভেঙে এই চরে এসে কিছু মাছ কিনলাম। তবে মাছের দাম বেশি মনে হচ্ছে। যে পরিমাণ কম হওয়ার কথা, সেই পরিমাণে কম পাচ্ছি না। প্রশাসনেরও ভয় আছে। তবুও মাছ কিনলাম।’
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত দফায় দফায় পদ্মায় অভিযান পরিচালনা করে থাকি। তবে মা ইলিশ রক্ষায় স্থায়ীভাবে সার্বক্ষণিক নদী ও চরগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়ন করা প্রয়োজন।