আশিক বিন রহিম, চাঁদপুর
প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২১, ০২:০৯ পিএম
চাঁদপুর জেলার মানচিত্র
করোনা মহামারিতে সবচেয়ে বেশি নাজুকপরিস্থিতির মুখে পড়েছে বেসরকারিভাবে পরিচালিত দেশের কেজি (কিন্ডারগার্টেন) স্কুলগুলো। করোনার থাবায় প্রায় দুই বছর দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বন্ধ ছিল এই কেজি স্কুলগুলোও। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে (পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতিত) সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললেও, চাঁদপুর জেলায় বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত প্রায় ৪১টি কেজি স্কুল এখনো বন্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি ও মডার্ন কিন্ডারগার্টেন স্কুলের অধ্যক্ষ মো. ওমর ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, করোনাকালে চরম অর্থ সংকটে পড়ে প্রায় ৪১টি কেজি স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে। এসব প্রতিষ্ঠান ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া নিয়ে পরিচালিত হতো। দুই বছর প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ভাড়া প্রদানের ব্যর্থ হওয়ায় অনেকে প্রতিষ্ঠান গুটিয়ে নিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, জেলায় ৮৯৭টি কেজি স্কুলে প্রায় ১২ হাজার শিক্ষক ও ১৩শ’ কমর্চারী দায়িত্ব পালন করেন। সরকারি নিদের্শ মতো ইতিমধ্যে কেজি স্কুলগুলো খুললেও, বকেয়া বেতন দিতে অভিভাবকরা অনীহা দেখাচ্ছেন। তাদের ৫০% ভাগ টিউশন ফি মওকুফ করে বকেয়া ফিস দেওয়ার জন্য বলা হলেও, কারও কর্ণপাত নেই। ফলে আমরা শিক্ষকরা খুবই বেকায়দায় রয়েছি। একই অবস্থা চলছে উপজেলাগুলোতেও।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ সাহাবউদ্দীন জানান, কেজি স্কুল বন্ধ হবার পূর্ণাঙ্গ তথ্য আমাদের জানা নেই। জেলা কেজি স্কুল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সম্পাদকরা এ বিষয়ে বলতে পারবেন। এসব কেজি স্কুলের বাচ্চাদের নিকটস্থ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করানো হয়েছে।
চাঁদপুর কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ওমর ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক সবুজ ভদ্র জানান, করোনাকালে সাংস্কৃতিক কর্মীরা ২/৩ বার করে বড় অংকের সরকারি প্রণোদনা পেলেও, কেজি স্কুলের শিক্ষক-কমর্চারীরা সরকারি প্রণোদনা পাননি। শুধু চাঁদপুরের জেলা প্রশাসকের ত্রাণ তহবিল থেকে কেজি স্কুলের ৪শ’ শিক্ষককে এক হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক-কমর্চারীদের ৫০ শতাংশ মাসিক বেতন সরকারি কোষাগার থেকে প্রদানের জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।