ফরিদ আহাম্মদ
প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২১, ০৬:০৭ পিএম | আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২১, ০৬:০৯ পিএম
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর
'গণকর্মচারী শৃঙ্খলা (নিয়মিত উপস্থিতি) অধ্যাদেশ, ১৯৮২'- এ অধ্যাদেশের অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলো সংক্ষেপে নিন্মরূপ:
১. এ অধ্যাদেশ গণকর্মচারী শৃঙ্খলা (নিয়মিত উপস্থিতি) অধ্যাদেশ, ১৯৮২ নামে অভিহিত হবে।
২. ক. কতৃর্পক্ষ বলতে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ অথবা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এ অধ্যাদেশের আওতায় কতৃর্পক্ষের ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা কতৃর্পক্ষকে বুঝাবে।
খ. গণকর্মচারী বলতে প্রজাতন্ত্রের বা বিধিবদ্ধ সংস্থায় কর্মরত কর্মচারীদেরকে বুঝাবে।
৩. গণকর্মচারী সংক্রান্ত অন্য কোন আইন, বিধিমালা বা রেগুলেশন অথবা গণ কর্মচারীর চাকরির শর্তাবলীতে যা কিছুই বর্ণিত থাকুক না কেন এ অধ্যাদেশ কাযর্কর হবে।
৪. বিনা অনুমতিতে কাজে অনুপস্থিতির দণ্ড: কোন গণকর্মচারী তার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি ব্যাতিরেকে ছুটিতে গেলে বা কর্মে অনুপস্থিত থাকলে, কর্তৃপক্ষ প্রতিদিনের অনুপস্থিতির জন্য উক্ত কর্মচারীর একদিনের মূল বেতন কর্তন করবেন।
৫. বিনা অনুমতিতে অফিস ত্যাগের দণ্ড: কোন গণকমর্চারী অফিস চলাকালীন সময়ে তার উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি ব্যতিরেকে অফিস ত্যাগ করলে, কর্তৃপক্ষ এ রূপ প্রতি ক্ষেত্রে একদিনের মূল বেতন কর্তন করবেন।
* অবকাশ বিভাগের কর্মচারীদের ছুটি:
অবকাশ বিভাগে স্থায়ীভাবে কর্মরত কোন সরকারি কর্মচারী কর্তব্য সম্পাদন বিষয়ে যে বৎসর অবকাশ ভোগ করবেন, সে বৎসর পূর্ণ গড় বেতনে কোন ছুটি পাবেন না। এরূপ সরকারি কর্মচারী যদি কোন বৎসর সমগ্র অবকাশ ভোগ করতে না পারেন তবে তিনি সুপিরিয়র সার্ভিসের কর্মচারী হলে সমগ্র অবকাশের যতভাগ ভোগ করতে পারেন নি, ত্রিশ দিনের ততভাগ এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হলে ১৫ দিনের ততভাগ এ অনুপাতে পূর্ণগড় বেতনে ছুটি পাবেন। এরূপ সরকারি কর্মচারী কোন বৎসর যদি অবকাশ ভোগ না করেন, তা হলে অবকাশ নেই এমন বিভাগের মত ঐ বৎসরের জন্য তাকে পূর্ণগড় বেতনে ছুটি প্রদান করা হবে। এরূপ সরকারি কর্মচারীগণ অন্যান্য সরকারি কর্মচারীর মত অর্ধ গড় বেতনে ছুটি অর্জন ও ভোগ করতে পারবেন।
* অসাধারণ ছুটি:
অসাধারণ ছুটি সংক্রান্ত নিয়মাবলি বাংলাদেশ চাকরি বিধির ১৭৪-এর উপ-বিধি (১), (২) ও (৩)-এ বর্ণিত হয়েছ। অসাধারণ ছুটির নিয়মাবলি: নিন্মোক্ত বিশেষ অবস্থায় একজন সরকারি কর্মচারীকে অসাধারণ ছুটি মঞ্জুর করা যেতে পারে। তবে কোন সরকারি কর্মচারী অসাধারণ ছুটিকালীন সময়ের জন্য কোন ছুটিকালীন বেতন প্রাপ্য হন না এবং এ ছুটি তার পেনশন ও পদোন্নতির জন্য গণনাযোগ্য নয়। বিধি মেতাবেক যখন অন্য কোন ধরণের ছুটি পাওনা না থাকেন, অথবা অন্য কোন প্রকার ছুটি পাওনা থাকা সত্বেও সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মচারী যদি লিখিতভাবে অসাধারণ ছুটির জন্য আবেদন করেন।
* নৈমিত্তিক ছুটির নিয়মাবলী:
নৈমিত্তিক ছুটি চাকরি বিধিমালা স্বীকৃত ছুটি নয় এবং নৈমিত্তিক ছুটিজনিত অনুপস্থিতিকে কাজে অনুপস্থিতি হিসেবে গণ্য করা হয় না। পঞ্জিকাবর্ষে সকল সরকারি কর্মচারী বৎসরে সর্বমোট ২০ দিন নৈমিত্তিক ছুটি ভোগ করতে পারবেন। কোন সরকারি কর্মচারীকে এক সঙ্গে ১০ দিনের বেশি নৈমিত্তিক ছুটি প্রদান করা যাবে না। তবে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও বান্দরবান জেলায় কর্মরত সকল সরকারি কর্মচারীকে এক বৎসরের মঞ্জুরযোগ্য ২০ দিনের মধ্যে ১৫ দিন নৈমিত্তিক ছুটি একই সাথে ভোগ করতে দেয়া যেতে পারে। কোন কর্মকর্তা আবেদন জানালে সর্বোচ্চ ৩ দিনের নৈমিত্তিক ছুটি একবার বা একাধিকবার অন্য কোন সরকারি ছুটির পূর্বে অথবা পরে সংযুক্ত করার অনুমতি প্রদান করা যেতে পারে। যে ক্ষেত্রে এ ধরণের আবেদন করা হবে না বা অনুমতি দেয়া হবে না, সে সকল ক্ষেত্রে শুক্রবার বা সরকারি ছুটির দিনগুলোও নৈমিত্তিক ছুটি হিসেবে গণ্য করা হবে।
নৈমিত্তিক ছুটির উভয় দিকে সরকারি ছুটি সংযুক্ত করা যাবে না। কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে নৈমিত্তিক ছুটি ভোগকারী কোন ব্যক্তি সদর দপ্তর ত্যাগ করতে পারবেন না। সরকারি কাজে অথবা প্রশিক্ষণার্থী বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থানরত কর্মকর্তাদিগকে নৈমিত্তিক ছুটি প্রদান সরকার নিরুৎসাহিত করেন। তবে কেবল বিশেষ পরিস্থিতিতে অত্র বিজ্ঞপ্তিতে বর্ণিত শর্ত সাপেক্ষে নৈমিত্তিক ছুটি প্রদান করা যাবে।
* মাতৃত্ব ছুটি:
একজন নারী সরকারি কর্মচারী সমগ্র চাকরিকালীন সময়ে প্রসূতি ছুটি ২ বারের বেশি প্রাপ্য হবেন না।- এ বিধির অধীনে মঞ্জুরিকৃত প্রসূতি ছুটি নারী কর্মচারীর 'ছুটির হিসাব' হতে বিয়োগ হবে না এবং ছুটিতে যাওয়ার প্রাক্কালে উত্তোলিত বেতনের হারে পূর্ণ বেতন প্রাপ্য হবেন।- ২০১১ সালে এ ছুটিতে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগে এ ছুটির মেয়াদ ছিল ৩ মাস। আর বর্তমানে ৬ মাস। উক্ত ছুটি আরম্ভের তারিখ সন্তান প্রসবের উদ্দেশ্যে আতুর ঘরে আবদ্ধ হওয়ার তারিখের পরবর্তী কোন তারিখ হতে পারবে না। অর্থাৎ ছুটি আরম্ভের সর্বশেষ তারিখ হবে আতুর ঘরে প্রবেশের তারিখ।
উল্লেখ্য গভর্বতী হওয়ার স্বপক্ষে ডাক্তারি সার্টফিকেটসহ আবেদন করা হলে প্রসূতি ছুটির আবেদন না মঞ্জুর করার কিংবা ৬(ছয়) মাসের চেয়ে কম সময়ের জন্য ছুটি মঞ্জুর করার কিংবা ছুটি আরম্ভের তারিখ পরিবর্তন করার ক্ষমতা ছুটি মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষের নেই।
ক. গেজেটেড কর্মকতার্দের ক্ষেত্রে সরকার অথবা সরকার কতৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ প্রসূতি ছুটি মঞ্জুরের ক্ষমতাপ্রাপ্ত। অর্থাৎ উভয় ক্ষেত্রেই অর্জিত ছুটি মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ প্রসূতি ছুটি মঞ্জুরির জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত।
খ. সমগ্র চাকরি জীবনে প্রসূতি ছুটি দুবারের অধিক প্রাপ্য হবে না।
গ. প্রসূতি ছুটি 'ছুটি হিসাব' হতে বিয়োগ হবে না। অর্থাৎ প্রসূতি ছুটির জন্য ছুটি অর্জন করতে হবে না এবং পাওনা ছুটি হতে প্রসূতি ছুটির কাল বাদ যাবে না।
ঘ. ছুটিকালীন সময়ে ছুটিতে যাওয়ার প্রাক্কালে প্রাপ্য হারে পূর্ণ বেতন প্রাপ্য হবে।
ঙ. ডাক্তারি সার্টফিকেটের সুপারিশের ভিত্তিতে গড় বেতনে অর্জিত ছুটিসহ যে কোন প্রকার ছুটির আবেদন করলে প্রসূতি ছুটির ধার ধারাবাহিকতাক্রমে উক্ত প্রকার ছুটি প্রদান করা যাবে।
৬. বিলম্বে উপস্থিতির জন্য দণ্ড: কোন গণকর্মচারী অফিসে বিলম্বে হাজির হলে, কর্তৃপক্ষ প্রতি দুদিন বিলম্বে উপস্থিতির জন্য একদিনের মূল বেতন কর্তন করবেন।
৭. অপরাধের পুনরাবৃত্তির দণ্ড: কোন গণকর্মচারী ত্রিশ দিনের ভেতর ৪ বা ৫ বা ৬ ধারায় বর্ণিত অপরাধ একাধিকবার করলে, কতৃর্পক্ষ আরো অতিরিক্ত সাত দিনের মূল বেতন কর্তন করতে পারবেন।
৮. আবেদন পেশ: ৪ বা ৫ বা ৬ বা ৭ ধারার অধীনে কোন কর্মচারীর বেতন কর্তনের আদেশ প্রদান করা হলে, আট চল্লিশ ঘন্টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট গণকর্মচারী কর্তৃপক্ষের নিকট আদেশ পুন:বিবেচনার জন্য আবেদন পেশ করতে পারবেন এবং তদপ্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ যেরূপ যথাযথ বলে বিবেচনা করবেন, সেরূপ শুনানি গ্রহণান্তে আদেশ সংশোধন, বাতিল বা বহাল রাখতে পারবেন।
৯. এ অধ্যাদেশে অধীন কোন বিষয়ে পাবলিক সার্ভস কমিশনের সহিত পরার্শর দরকার হবে না।
১০. আদালতের এখতিয়ার খর্ব: এ অধ্যাদেশের অধীন গৃহীত কোন কার্যক্রম বা আদেশ সম্পর্কে কোন আদালতে প্রশ্ন উথ্থাপন করা যাবে না।
ছুটি বিধিমালা ১৯৫৯
..........................................................
ক. অর্জিত ছুটি:
কর্মকালীন সময়ে যে ছুটি অর্জিত হয় তাই অর্জিত ছুটি। অর্জিত ছুটি দুই প্রকার; যেমন- গড় বেতনে অর্জিত ছুটি এবং অর্ধ গড় বেতনে অর্জিত ছুটি। নির্ধারিত ছুটি বিধিমালা-১৯৫৯ অনুযায়ী স্থায়ী সরকারি কর্মচারীদের জন্য অর্জিত ছুটি নিম্নরূপ;
গড় বেতনে ও অর্ধ বেতনে ছুটি:
* (১) গড় বেতনে ছুটি;
ক. একজন স্থায়ী কর্মচারীর প্রতি ১১ দিন কর্মকালীন সময়ের জন্য ১ দিন করে পূর্ণ গড় বেতনে ছুটি অর্জিত হবে এবং সর্বোচ্চ ৪ মাস পর্যন্ত এ ছুটি জমা হবে। এ চার মাসের অতিরিক্ত সময়ের অর্জিত ছুটি তার হিসাবে আলাদাভাবে জমা হবে।
খ. একজন স্থায়ী কর্মচারীকে এক সাথে সর্বোচ্চ চার মাসের বেশি পূর্ণ গড় বেতনে ছুটি মঞ্জুর করা যাবে না। তবে মেডিকেল প্রত্যায়নপত্র সাপেক্ষে বা ধর্মীয় পুণ্যস্থানসমূহ দর্শনের উদ্দেশ্যে শিক্ষা বা চিত্তবিনোদনের নিমিত্তে ভারত, বার্মা ও শ্রীলঙ্কার বাইরে চার মাসের অতিরিক্ত হিসেবে এ ছুটির সীমা ছয় মাস পর্যন্ত গড় বেতনে ছুটি মঞ্জুর করা যেতে পারে।
* (২) অর্ধ গড় বেতনে ছুটি:
ক. একজন স্থায়ী কর্মকর্তার কর্মকালীন সময়ের প্রতি ১২ দিনের জন্য ১ দিন করে অর্ধগড় বেতনে ছুটি অর্জিত হবে এবং এ ছুটি সীমাহীনভাবে জমা হতে থাকবে।
খ. সর্বোচ্চ ১২ মাস পর্যন্ত অর্ধ গড় বেতনের ছুটিতে রূপান্তরিত করা যাবে। তবে মেডিকেল প্রত্যয়নপত্র ছাড়া অর্ধ গড় বেতনের ছুটিতে পূর্ণগড় বেতনের ছুটিতে রূপান্তরিত করা যাবে না। এ রূপান্তরের হার হবে প্রতি দুদিনের অর্ধগড় বেতনের ছুটির জন্য একদিনের পূর্ণগড় বেতনের ছুটি।
* ছুটিকালীন বেতন:
ছুটিকালীন বেতন গণনার বিধানাবলী নিন্মরূপ: - যে মাসে ছুটি গ্রহণ করা হয়েছে তা পূর্ববর্তী পূর্ণ ১২ মাসের গড় বেতনের ভিত্তিতে গড় বেতনে ছুটিকালীন সময়ের ছুটির বেতন গণনা করা হবে অথবা ছুটিতে যাওয়ার পূর্ববর্তী মাসে সরকারি কর্মচারী যে বেতন উত্তোলন করেছেন তার ভিত্তিতে ছুটির বেতন গণনা করা হবে।
উপরোক্ত দুটি পদ্ধতির মধ্যে যা সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মচারীর জন্য অধিকতর অনুকূল হবে তার ভিত্তিতে ছুটিকালীন বেতন গণনা করা যেতে পারে।- অর্ধগড় বেতনে ছুটিকালীন সময়ের ছুটির বেতন উপ-বিধি (১)-এর আওতায় গণানাকৃত অর্ধগড় বেতনের সমান হবে।- একজন সরকারি কর্মচারী যে দেশেই ছুটি কাটান না কেন, তিনি তার ছুটিকালীন সময়ের বেতন বাংলাদেশি মুদ্রায় বাংলাদেশেই উত্তোলন করবেন।
* এক সাথে প্রদানযোগ্যে সবোর্চ্চ ছুটি:
এক সাথে সর্বোচ্চ এক বৎসর পর্যন্ত ছুটি নেওয়া যাবে, তবে মেডিকেল প্রত্যায়নপত্র সাপেক্ষে এ ছুটির পরিমাণ দু'বৎসর পর্যন্ত বর্ধিত করা যেতে পারে।
* শ্রান্তি বিনোদন ছুটি:
বাংলাদেশ চাকুরি (বিনোদন ভাতা) বিধি, ১৯৭৯ অনুযায়ী একজন সরকারি কর্মচারী নিন্মোক্ত শর্ত সাপেক্ষে প্রতি ৩ বৎসর অন্তর শ্রান্তি বিনোদন ছুটি ভোগ করতে পারবেন।- চাকরিকাল ধারাবাহিকক্রমে তিন বৎসর পূর্ণ হতে হবে।- গড় বেতনে কমপক্ষে ১৫ দিন ছুটি পাওনা থাকতে হবে। প্রতি ৩ বৎসর অন্তর ১৫ দিন এ প্রকার ছুটি মঞ্জুর করা যাবে। এ প্রকার ছুটিকালীন সময়ে বেতন ছাড়াও এক মসের মূল বেতনের সম পরিমাণ অর্থ প্রাপ্ত হবেন।
ছুটি বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দশনা বা চিঠিপত্র:
উপরোক্ত সরকারি অধ্যাদেশ ও বিধি-বিধানের আলোকে বিভিন্ন সময়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর হতে বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক/শিক্ষিকাদের জন্য প্রযোজ্য কিছু ছুটি বিধি-বিধানের পরিপত্র এবং নির্দশেনা দেয়া হয়েছে, যেগুলো সরকারি কর্মচারী বিধি-বিধানের সাথে মেনে চলা আবশ্যক।
১. ২৬/০৭/১৯৯৯ খ্রি. তারিখে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তৎকালীন মহাপরিচালক প্রফেসর সালেহ মতিন স্বাক্ষরিত এক পত্রে বলা হয় যে, নির্ধারিত সময়ের পূর্বে স্কুল ছুটি দেয়া একটি গর্হিত অপরাধ। এ ধরণের অপরাধের জন্য সরাসরি বিভাগীয় মামলা রুজু করার নিদের্শ দেয়া হয়েছে।
২. প্রাথমিক শিক্ষা অধিপ্তরের আরেক মহাপরিচালক আব্দুর রশীদ বিগত ১১/১১/২০০১ তারিখের এক পত্রে বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকা কোন শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরাসরি বিভাগীয় মামলা রুজু করার জন্য বলেছেন।
৩. ২১/০৪/২১৯৯৮ খ্রি. তারিখে তৎকালীন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আজিজ আহমদ চৌধুরী এক পত্রে বলেন যে, কোন বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকদের মধ্যে একসাথে ২ জনকে নৈমিত্তিক ছুটি দেয়া যাবে না।
৪. অতি সম্প্রতি সাবেক মহাপরিচালক শ্যামল কান্তি ঘোষ কতৃক স্বাক্ষরিত এক নিদের্শনাপত্রে শিক্ষকদেরকে পূর্বানুমতি গ্রহণ করে নৈমিত্তিক ছুটি নিতে এবং কর্মস্থল ত্যাগের আগে অনুমতি গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া, প্রত্যেক শিক্ষককে মুভমেন্ট রেজিস্টার ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। (অসমাপ্ত)।
-লেখক: সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি নালিতাবাড়ী, শেরপুর।