ফের পূর্ণ লকডাউন অস্ট্রিয়ায়

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ফের বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় পূর্ণ লকডাউন জারির ঘোষণা দেয়া হয়েছে। শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) ইউরোপের দেশটির চ্যান্সেলর আলেকজান্ডার শ্যালেনবার্গ ঘোষণা দেন সোমবার থেকে কার্যকর হবে সর্বোচ্চ ২০ দিনের এই লকডাউন।

আগামী বছর ফেব্রুয়ারির পর থেকে সব নাগরিকদের করোনারোধী টিকা নেয়া বাধ্যতামূলক করে আইনি ব্যবস্থার কথাও বলা হয়েছে।

যে সব নাগরিক টিকা নেননি ইতিমধ্যেই অপ্রয়োজনীয় কাজে তাদের বাড়ি থেকে বের হবার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।

সংক্রমণরোধে গত বছর নভেম্বরের মাঝামাঝি অস্ট্রিয়া ২০ দিন স্থায়ী পূর্ণ লকডাউন কার্যকর করেছিল।

ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে অস্ট্রিয়ার নাগরিকদের টিকা নেয়ার হার সবচেয়ে কম।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সবশেষ তথ্যমতে, গত ৭ দিন প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে কমপক্ষে ৯৯০ জনের শরীরে। ৯০ লাখ জনসংখ্যার এই দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে ১৫ হাজার ৮০৯ জনের শরীরে। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওফগ্যাং মুকস্টেইনের মতে, এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউনের বিকল্প নেই।

এমন নিষেধাজ্ঞার সময় নাগরিকদের বাসা থেকে অফিসের কাজ করার কথা বলা হয়েছে। জরুরী নয় এমন সব দোকান বন্ধ থাকবে বলে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এসময় স্কুল বন্ধ থাকবে। তবে যেসব শিক্ষার্থীর সরাসরি শিক্ষাগ্রহণের প্রয়োজন রয়েছে কেবল তারা এর আওতার বাইরে থাকবে।

১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে। তবে এর পর লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানো হবে কী না তা খতিয়ে দেখতে ১০ দিন পার হবার পর পুনরায় সবকিছু পর্যালোচনা করবেন জাতীয় কমিটি।

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে এই শীতে প্রথম পূর্ণ লকডাউন জারি করেছে অস্ট্রিয়া।

ইউরোপে নতুন করে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ১৩ নভেম্বর দেশজুড়ে আংশিক লকডাউন ঘোষণা করে নেদারল্যান্ডস।

শনিবার থেকে তিন সপ্তাহের জন্য জারি করা এই লকডাউনে রাত ৮টার মধ্যে বার, রেস্তোরাঁ ও সুপার মার্কেট বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সন্ধ্যা ৬টার পরে বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে জরুরি পণ্য ছাড়া অন্যান্য পণ্যের দোকান।