রাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০২১, ০৪:৫০ পিএম | আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২১, ০৫:৪৫ পিএম
রোকেয়া হলের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আবাসিক হলের খাবারের মান বৃদ্ধি, সান্ধ্য আইন পরিবর্তন ও ইন্টারনেটের ফ্রিকোয়েন্সি বাড়ানোসহ দশ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা৷
শনিবার (২০ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ওই হলের শিক্ষার্থীরা। এ প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে।
তাদের দাবিগুলো হলো- সান্ধ্য আইন পরিবর্তন, ইন্টারনেটের ফ্রিকোয়েন্সি বাড়িয়ে ওয়াইফাইয়ের সমস্যা দূর করা, ডাইনিংয়ে খাবারের মান বৃদ্ধি, অতিথিদের হলে প্রবেশে অনুমতি, অন্য হলের ছাত্রী ও প্রাক্তন ছাত্রীদের হলে প্রবেশের অনুমতি, হলের খালা ও স্টাফদের অসদাচরণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, পরীক্ষা শেষে অন্তত দুই মাস হলে অবস্থানের অনুমতি, পর্যাপ্ত রিডিং রুমের ব্যবস্থা করা, হলের চারপাশ ও ওয়াশরুম পরিস্কার করা এবং হলের মশা-মাছি নিধনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা৷
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, প্রতিদিন আলু আর পেপে খেতে খেতে অতীষ্ট। ক্যাম্পাস খোলার পর থেকে ডাইনিং ও ক্যান্টিনে খাবারের দাম বাড়ানো হয়েছে৷ অথচ খাবারের মান দিন হ্রাস পাচ্ছে৷ হল প্রশাসনকে বার বার বলা হলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না৷ এছাড়া হলে আসার পর থেকে ইন্টারনেটের খুবই বাজে অবস্থা। প্রতি মাসে আমরা ইন্টারনেটের বিল দিয়ে সঠিক সেবা পাচ্ছি না৷
তারা আরও বলছেন, হলে অতিথি আসলে তাদের প্রবেশ করতে দিচ্ছে না৷ সন্ধ্যা ৭ টার পরে হলে ঢুকতে গেলে হলের স্টাফরা খারাপ ব্যবহার করে। হলের ওয়াশরুম ও চারপাশ অপরিস্কার থাকায় মশা-মাছি বেড়েই চলেছে। অনতিবিলম্বে আমাদের এসব দাবি না মানলে আমরা কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো৷
আন্দোলনের এক পর্যায়ে সেখানে উপস্থিত হন ছাত্র উপদেষ্টা সহযোগী অধ্যাপক তারেক নূর। তিনি শিক্ষার্থীদের কাছে তাদের সমস্যার কথা শুনে তা সমাধানের জন্য দুই-তিন দিন সময় চেয়েছেন। তবে শিক্ষার্থীরা অসম্মতি জানিয়ে বলেন, ‘তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত তারা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।’
পরে, শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে এক বৈঠকে বসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও ছাত্র উপদেষ্টা সহযোগী অধ্যাপক তারেক নূর।