উন্নয়নের চাকায় পিষ্ট হাতির ভবিষ্যৎ

কে এম ওবায়দুল্লাহ

প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর ২০২১, ০১:২৪ পিএম

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সভ্যতার গোড়া থেকেই আট-দশটি প্রাণীর সঙ্গে মানুষের অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তার মধ্যে হাতি একটি। সেই অর্থে আমাদের সঙ্গে হাতির আত্মীয়তার সম্পর্ক ঐতিহাসিক। তবে হাতির ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল নয় মোটেই। মানুষের প্রয়োজনে বহু বছর নির্বিচারে হাতি শিকারের ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশে তার সংখ্যা কমে এসেছে ভয়াবহভাবে। পাশাপাশি, গজদন্তের জন্য চোরাশিকার এবং প্রাকৃতিক বাসস্থান ধ্বংসকেও সংখ্যা কমার জন্য দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।

জনবসতি ও কৃষিজমির সম্প্রসারণ, শিল্পায়ন, রেললাইন তৈরির মতো উন্নয়নের কোপে নষ্ট হচ্ছে হাতি চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ পথগুলো। ফলে বাস্তুচ্যুত হাতির দল খাবারের সন্ধানে হানা দিচ্ছে লোকালয়ে। বাড়ছে হাতি-মানুষ সংঘাত। প্রাণহানি ঘটছে দু’পক্ষেই। রয়েছে আরও দীর্ঘস্থায়ী এবং জটিল সমস্যার বাস্তবতাও। ছোট ছোট অরণ্যে আটকে পড়ে হাতিদের মধ্যে আন্তঃপ্রজননের ফলে জিনঘটিত অবক্ষয়ের আশঙ্কাও রয়েছে। আর দুর্বল বংশধরেরা ভবিষ্যতে আদৌ প্রাকৃতিক পরিবেশে টিকে থাকতে পারবে কি না, তা নিয়েও সন্দিহান বন্যপ্রাণী গবেষকরা। 

ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) গবেষণা বলছে, মানুষ ও হাতির দ্বন্দ্ব যত বাড়বে, ততই ঘটবে প্রাণহানি। আর তাতে টিকতে না পেরে এক সময় হাতিই চলে যাবে দুনিয়া ছেড়ে। বিলুপ্ত হবে ‘ফরেস্ট ইঞ্জিনিয়ার’ বলে খ্যাত হাতি। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসে ‘বন ব্যবস্থাপনা’, ‘পরিবেশগত ভারসাম্য’, ‘বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ’, ‘হাতির জন্য অভয়ারণ্য’-এর পোস্টার সাঁটা সেমিনারে ফল মিলছে না। কাজ হচ্ছে না প্রশাসনিক যন্ত্র ব্যবহার করে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন কার্যকরের চেষ্টাতেও।

ইতিহাস বলছে, স্থানীয়দের সহযোগিতা না থাকলে কোনো উদ্যোগই সফল হয় না।

নিজ রাজ্যেই পরবাসী : বাংলাদেশের মধুপুর গড় থেকে শুরু করে গারো পাহাড়, সিলেট, চট্টগ্রাম এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রায় সব বনে শত বছর আগেও হাতির ছিল অবাধ বিচরণ। তবে বনাঞ্চল কমে যাওয়া এবং খাবারের অভাবে সংকটের মুখে পড়ছে। হাতির সংখ্যা নিরূপণের প্রথম তথ্য পাওয়া যায় ১৯৮০ সালে। বন্যপ্রাণী ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ড. রেজা খানের সেই জরিপ অনুযায়ী, তখন দেশে হাতি ছিল ৩৮০টি। আবার ২০০০ সালে ওয়াইল্ড লাইফ ফান্ডের গবেষণা অনুযায়ী, ২৩৯টি হাতি ছিল। ২০০৪ সালে আইইউসিএনের জরিপ বলছে, হাতির সংখ্যা দাঁড়ায় ২২৭টিতে। সর্বশেষ ২০১৬ সালের জরিপ অনুযায়ী, দেশে আবাসিক হাতি আছে ২৬৮টি। এর বাইরে দেশের সীমান্তবর্তী পাঁচটি বনাঞ্চলে ৯৩টি পরিযায়ী হাতি বিচরণ করে। আর সরকারের অনুমতিক্রমে ১০০টির মতো পোষা হাতি আছে। এসব মিলিয়ে ৪৬০-৪৭০টি হাতি আছে দেশে।

বর্তমানে দেশে হাতির স্থায়ী আবাসস্থল পার্বত্যাঞ্চল বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রামের লোহাগাড়া, সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, বাঁশখালী, বোয়ালখালী, রাঙ্গুনিয়া, কক্সবাজার জেলার ফাঁসিয়াখালী, রামু, উখিয়া ও টেকনাফ বনে। এখন নিজ রাজ্যেই পরবাসী হাতি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের থাকার জন্য নির্বিচারে বন কাটা, চট্টগ্রামের সংরক্ষিত বনের ভেতর দিয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন তৈরি, হাতির অভয়ারণ্যে মানুষের যাতায়াত বেড়ে যাওয়ার কারণেও না বুঝে শান্ত এই প্রাণিগুলো লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। শিকারও হচ্ছে। গত এক সপ্তাহেই প্রাণ হারাতে হয়েছে পাঁচটি হাতিকে। এর মধ্যে কক্সবাজারের চকরিয়ায় দুটি এবং চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, বাঁশখালী ও শেরপুরের শ্রীবরদী থেকে একটি করে হাতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

বন অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০১৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত ছয় বছরে ৫৪টি হাতি মারা গেছে। এর মধ্যে এক-তৃতীয়াংশই মানুষের হাতে। হাতির আক্রমণে প্রাণ হারিয়েছেন ১৩৩ জন। আর ২০০৪ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ১৭ বছরে হত্যার শিকার হয়েছে ১১৮টি হাতি। কোথাও বিদ্যুতের ফাঁদ পেতে মারছে, কোথাও আবার গুলি করে মারা হচ্ছে। আইইউসিএনের পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, এভাবে চলতে থাকলে বাংলাদেশ থেকে এশীয় হাতি বিলুপ্ত হতে বেশি সময় লাগবে না।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বন ও পরিবেশ বিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত মোহাম্মদ রায়হান সরকার দীর্ঘদিন ধরেই হাতি নিয়ে গবেষণা করছেন। তিনি বলেন, ‘হাতিরা দল বেঁধে ঘুরতে পছন্দ করে। আমাদের এখানে আর সেই রকম বন নেই বলে এরা এখন সংরক্ষিত বনেই থাকে। কিন্তু এ বনও কেটে নানা ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। আর তাদের চলাফেরার পথে মাইন পুঁতে রাখছে মিয়ানমার সরকার, আছে খাবারের সংকট ও নানাভাবে খেপিয়ে মানুষ এদের তাড়িয়ে নিয়ে আসছে লোকালয়ে।’ তিনি আরও বলেন, ‘চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে হাতির আবাসের ক্ষতি করছে মানুষ। ফলে প্রাণিগুলো এখন চট্টগ্রামের বাঁশখালী, আনোয়ারা, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, এমনকি পাহাড়ি পথ ধরে পটিয়া ও বোয়ালখালী উপজেলা পর্যন্ত চলে আসতে বাধ্য হচ্ছে।’

হাতিদের লোকালয়ে চলে আসার তথ্যে অবশ্য দ্বিমত পোষণ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এবং এশিয়ান এলিফ্যান্ট স্পেশালিস্ট গ্রুপের সদস্য মোহাম্মদ মোস্তাফা ফিরোজ। তিনি বলেন, ‘হাতিরা লোকালয়ে আসছে না, বরং ওদের আবাসভূমিতে মানুষ ঢুকে পড়ছে। মানুষ সংরক্ষিত বন দখল করে চাষাবাদ করছে। বসতি গড়ে তুলছে। অথচ হাতিরা বংশ পরম্পরায় হাজার হাজার বছর ধরে একটি নির্দিষ্ট পথ ধরেই চলাচল করে। তাদের বিচরণক্ষেত্রে কিছু পেলেই তারা লণ্ডভণ্ড করে দেয়। সেখান থেকেই হাতি আর মানুষের দ্বন্দ্ব বাড়ছে। ঘটছে প্রাণহানি। এভাবে চলতে থাকলে হাতি রক্ষা করাই কঠিন হয়ে যাবে। যদিও এটা নিয়ে সরকারের কোনো ভাবনাই নেই। বেসরকারি সংস্থাগুলোরও তেমন তৎপরতা চোখে পড়ছে না।’ 

অবলার বুকে উন্নয়নের কোপ : বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প এবং রোহিঙ্গাদের কারণে বিশাল বনভূমি উজাড় হওয়ায় বাড়ছে মানুষ-হাতির দ্বন্দ্ব। এর মধ্যে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ১২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ রেললাইন তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। বন বিভাগের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে হাতির বিচরণ আছে- এমন তিনটি সংরক্ষিত বন যেমন- চুনতি, ফাঁসিয়াখালী বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ও মেধাকচ্ছপিয়া ন্যাশনাল পার্কের ২৭ কিলোমিটার বনাঞ্চল কেটে নির্মাণ করা হবে রেললাইন। আর তাতে বাধাগ্রস্ত হবে হাতি চলাচলের অন্তত ছয়টি করিডোর, ভাগ হয়ে যাবে সংরক্ষতি বনটি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন হাতি মারা হচ্ছে গুলি করে, বিদুতের ফাঁদ পেতে; রেললাইন তৈরি হলে ট্রেনেও কাটা পড়বে।

হাতি বিশেষজ্ঞ ড. এ এইচ এম রায়হান সরকার বলেন, ‘পৃথিবীর কোনো দেশে সংরক্ষিত বনের ভেতর দিয়ে রেললাইন নির্মাণের নজির নেই। বর্তমান চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কের পাশ দিয়ে এ রেললাইন নির্মিত হলে কোনো সমস্যা হতো না। ভারতে বনের ভেতর দিয়ে সামান্য পরিমাণ রেললাইন, তাতেই হাতি মারা পড়ছে। আমাদের এই দীর্ঘপথে তো আরও বিপদ বাড়বে।’

দোহাজারি-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মফিজুর রহমান যদিও বলছেন, ‘বন্যপ্রাণী ও হাতির চলাচলের কথা মাথায় রেখে ওভারপাস ও আন্ডারপাস নির্মাণ করা হচ্ছে। জীববৈচিত্র্যের যেন কোনো ক্ষতি না হয়, সেজন্য প্রকল্প শেষ হলে ৭ লাখ গাছের বনায়ন করা হবে।’ 

কেন বাঁচাতে হবে গজরাজকে? : পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করছেন সিনিয়র সাংবাদিক হোসেন সোহেল। উদ্ভিদের বিস্তার ও প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় হাতির ভূমিকা তুলে ধরে এই গবেষক জানান, প্রকৃতির জীববৈচিত্র্য ও বাস্তুতন্ত্র সুসংহত রাখতে কাজ করে যাচ্ছে বিশালাকৃতির তৃণভোজী প্রাণিটি। প্রতিদিন এরা প্রচুর খাবার খায়। অনেক সময় বীজসহ গাছপালা খেয়ে ফেলে এবং অন্ত্রের মধ্যে তা পরিবহন করে। পরে বিষ্ঠার মাধ্যমে সেগুলোকে অন্য কোনো স্থানে ত্যাগ করে। 

গবেষণায় দেখা গেছে, হাতি ৬০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের মধ্যে বীজ ছড়িয়ে দিতে পারে। তাছাড়া হাতির গোবর হলো নিখুঁত সার। এটি বীজকে অঙ্কুরোদ্গম ও বৃদ্ধি করতে সাহায্যে করে। আবার বীজ বিচ্ছুরণে উদ্ভিদদের নতুন অঞ্চলেও উপনিবেশ করার সুযোগ তৈরি হয়, যা শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন প্রাণীর জন্য আবাসস্থল এবং খাদ্যের জোগান হয়।’ 

এই পরিবেশ বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, ‘বনায়নের পাশাপাশি প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় কাজ করছে হাতি। খাবার গ্রহণ প্রক্রিয়ায় বড় গাছের নিচের অংশে বেড়ে ওঠা গাছপালা পরিচ্ছন্ন করে এরা বনকে বদলে দেয়। গভীরেও পৌঁছায় সূর্যের আলো, যা নিচু গাছগুলোকে বেড়ে ওঠার সুযোগ করে দেয়। অর্থাৎ যে বনে হাতি বিচরণ করে, স্বাভাবিকভাবেই ধরে নেওয়া যায় সে বনের স্বাস্থ্য ভালো।’

বজ্র আঁটুনি ফসকা গেরো : বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইন অনুযায়ী, হাতি হত্যার অপরাধ প্রমাণ হলে সর্বনিম্ন দুই বছর এবং সর্বোচ্চ সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান। সেই সঙ্গে সর্বনিম্ন এক লাখ থেকে সর্বোচ্চ দশ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। আর জামিন অযোগ্য একই অপরাধ পুনরায় করলে সর্বোচ্চ ১২ বছর পর্যন্ত কারাদ- এবং সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড হতে পারে। তবে হামলার শিকারে প্রাণ যাওয়ার শঙ্কা থাকলে জীবন রক্ষার্থে হাতি হত্যার এই বিধান প্রযোজ্য নয়। এ ছাড়াও আইনে অভয়ারণ্যে, গাছ কাটা, গাছ সংগ্রহ, বন ধ্বংস এমনকি বনভূমির অংশে চাষাবাদেও নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু কে শুনে কার কথা, লোকজনের কাছ থেকে বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে কিংবা নানা চাপে বনের জমি লিজ দিয়ে দেয়। তখন গাছ কেটে আবাদ করা হয় ফল, সবজি, ধানসহ নানা শস্য। গড়ে তোলা হয় বসতি। 

হাতি হত্যার ঘটনায় গেল ১৭ বছরে মোট ১৪টি মামলা হয়। তবে একটিরও নিষ্পত্তি হয়নি। সর্বশেষ পাঁচটি হাতি হত্যায় এখন পর্যন্ত দুটি মামলা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে মাত্র একজনকে। যদিও হাতি মেরে কেউ সাজা পেয়েছেন, এমন নজির দেশে নেই। 

অধ্যাপক মোস্তফা ফিরোজ বলেন, ‘হাতি মানুষ মারলে তিন লাখ টাকা পাওয়া যাচ্ছে, আর প্রতিনিয়ত যে হাতি মারা হচ্ছে, তাতে তো কারও কিছু হচ্ছে না। এর জন্য কঠোর আইন থাকলেও তা প্রয়োগ হচ্ছে না। তাহলে বন বিভাগের কাজটা কী?’ 

হাতি হত্যার পর মামলা দায়েরে গাফিলতির কথা স্বীকার করেছেন বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক এ এস এম জহির উদ্দিন আকন। বনবিভাগের সীমাবদ্ধতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘একজন কর্মকর্তাকে গড়ে দুই হাজার হেক্টর বনাঞ্চল দেখভাল করতে হয়। তাই এককভাবে সব মনিটর করা রীতিমতো অসম্ভব।’ 

বন বিভাগে জনবল ও বাজেট স্বল্পতার কথা জানিয়ে বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ সার্কেলের বন সংরক্ষক মোল্যা রেজাউল করিম বলেন, ‘কাজ চলছে। এরই মধ্যে জনবল বাড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে আনা হয়েছে। পাশাপাশি হাতি-মানুষের সংঘাত নিরসনে একটি প্রকল্পের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে মন্ত্রণালয়কে। সচেতনতামূলক কার্যক্রম ও বিভিন্ন অঞ্চলে গঠন করা হয়েছে এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিমকে (ইআরটি)।’

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh