নাজমুস সাকিব মুন, পঞ্চগড়
প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর ২০২১, ০১:৪৫ পিএম | আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২১, ০১:৪৬ পিএম
জলপাইয়ের হাট
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে দেবদারুতলা এলাকার জলপাইয়ের হাটে প্রতিদিন গড়ে ৫ লাখ টাকার জলপাই কেনা-বেচা হচ্ছে। আর এই জলপাই চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। জলপাইয়ের মৌসুমজুড়ে এ হাট জমজমাট থাকে। চাষিদের বাগান থেকে জলপাই সংগ্রহ করে আড়তদারের কাছে বিক্রি করে সংসার চলছে স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের।
মৌসুম আসার আগেই বাগান মালিকদের জামানত দিয়ে বাগান কিনে থাকে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা ব্যবসায়ীরা। ফল পরিপক্ব হলে নিজেরাই বাগান থেকে ফল তুলে নিয়ে যাচ্ছে আড়তে। ফলে কোনো বিড়ম্বনাই থাকছে না এলাকার চাষি-ব্যবসায়ীদের মধ্যে। জলপাই ছাড়াও জাম্বুরা, কলা, পেঁপেসহ নানান মৌসুমি ফলের বড় বাজার বসে দেবীগঞ্জের এই দেবদারুতলায়।
জলপাই হাটের ইজারাদার আসাদ জানান, সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করে ডিসেম্বর পর্যন্ত চলে দেবীগঞ্জের এই বাজারে জলপাইসহ নানা মৌসুমি ফল বিক্রির উৎসব। ভরা মৌসুমে এই হাটে প্রতিদিন গড়ে ৫ লাখ টাকার জলপাই কেনা-বেচা হয়। প্রতি কেজি জলপাই প্রকারভেদে ১০ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা থেকে জলপাই কিনতে আসা শরিফুল হক জানান, এই এলাকার জলপাইয়ের আকার-স্বাদে ভালো হওয়ার কারণে বাজারে এর চাহিদা অনেক। সারা মৌসুম দেবীগঞ্জ থেকে জলপাই কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে তিনি বিক্রি করেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাফিয়ার রহমান জানান, এখানে রয়েছে জলপাইয়ের ছোট-বড় অসংখ্য বাগান। আরও নতুন নতুন জলপাইয়ের বাগান গড়ে উঠেছে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় এর চাহিদা থাকায় এবং ভালো দাম পাওয়ায় এলাকার চাষিদের মধ্যে বাগান গড়ে তোলার প্রবণতা বাড়ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান জানান, অর্থকরী ফসলের পাশাপাশি মাল্টা, কমলালেবু, পেয়ারা, জাম্বুরা এবং জলপাই চাষে সাফল্য থাকায় চাষিদের এসব ফল চাষে কৃষি বিভাগের তদারকি বাড়ানো হয়েছে।