বসুরহাট কাণ্ড: ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৩ জন কারাগারে

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর ২০২১, ০৬:২৯ পিএম | আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২১, ০৬:৩০ পিএম

নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত

নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্বের জের ধরে কাদের মির্জার অনুসারীদের দায়েরকৃত ২টি মামলায় এক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৩ আসামির জামিন দেয়নি আদালত। একই সাতে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এই ১৩ আসামিরা হলেন- চরফকিরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক ওরফে কানা রাজ্জাক, চরএলাহী ৩নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রহিম, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জায়েদুল হক কচি, চরফকিরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আশ্রাফ হোসেন রবেন্স, উপজেলা যুবলীগের সদস্য শাহদাত হোসেন পবেন্স, চরএলাহী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম, আবদুল আজিজ, শেখ বেলাল, মো. রিপন, এমরান হোসেন, মো. শাহীন।

সবাই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারী।

মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে ৪টি মামলায় ৭৬ জন আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করলে নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস.এম মোছলেহ্ উদ্দিন মিজানের আদালত এ আদেশ দেয়। একই দিন বিকেল ৪টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম।

তিনি আরো বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে চারটি মামলায় মোট ৭৬ জন আসামি আত্মসমর্পণ করলে আদালত কোম্পানীগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় ৯ জন এবং কোম্পানীগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত আরেকটি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় চারজনসহ মোট ১৩ জন আসামির জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের নিমিত্তে তাদের বিরুদ্ধে সি-ডব্লিউ ইস্যু করেন।

উল্লেখ্য, ১৩ আসামি হাইকোর্ট থেকে আট সপ্তাহ মেয়াদী অন্তবর্তীকালীন জামিনে ছিলেন।  

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh