কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২১, ১০:৪০ এএম
কক্সবাজারের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত
এক ভান্তেকে হত্যা চেষ্টার মামলায় আরেক ভান্তেকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন কক্সবাজারের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। একই সাথে ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৩ মাসের কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন বিচারক।
হত্যা চেষ্টার ঘটনার ৫ বছর পর মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে ওই রায় ঘোষণা করেছেন কক্সবাজারের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর মোহাম্মদ ফারুকী। সাজাপ্রাপ্ত আসামি হলেন- শহরের গোলদিঘীর পাড়ের ক্যাংপাড়ার মৃত আহ্লা মং’র ছেলে ভান্তে মংয়েন চিন রাখাইন প্রকাশ মংয়াইছিন রাখাইন প্রকাশ পাইঞ্চা জোটিকা (৪৮)।
পুলিশ ও আদালত সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ১৩ জুলাই ভোরে আসামী মংয়েন চিন রাখাইন পৌরসভার উইমাছারা বৌদ্ধ মন্দিরের দ্বিতীয় তলায় ডুকে ওই মন্দিরের ভান্তে উথান্ডিতা মহাথেরকে ( ৮২) লাঠি দিয়ে মারধর করে।
সেসময় ভান্তে মহাথের মাথা ফেটে মারাত্মক জখম হয়। ওই ঘটনায় মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি মং সুচি রাখাইন বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা করেন। যার নম্বর ২২। মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরেই ২১ নভেম্বর আদালতের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন কক্সবাজার সদর থানার তৎকালীন এসআই মো. মাঈন উদ্দিন।
এবিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার তৎকালীন এস আই (বর্তমানে পিরোজপুর জেলায় ইনস্পেক্টর হিসেবে কর্মরত) মাঈন উদ্দিন বলেন, মামলাটির তদন্ত ভার পেয়ে আমি প্রথমে বান্দরবান জেলার লামা থেকে আসামিকে গ্রেফতার করে। এরপর তদন্ত করে জানতে পারি, ওই মন্দিরের কিছু জমি আসামি পক্ষের। সে কারণে আসামি ওই মন্দিরের ভান্তে হতে চেয়েছিল। কিন্তু ভান্তে মহাথের কারণে তিনি ভান্তে হতে পারেননি। এই ক্ষোভ থেকে ভান্তে মহাথেরকে হত্যা করার চেষ্টা করে আসামি মংয়েন।
এদিকে আদালত সূত্র জানায়, পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন আদালত আমলে নিয়ে মামলার বিচারকাজ শুরু করে। বিচারকাজ শেষে আসামির অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত রায় ঘোষণা করে।
এবিষয়ে কক্সবাজারের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশেক উল্লাহ শাহাজাহান নূরী বলেন, ভিকটিম, বাদী ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষে ভান্তে মংয়েন চিন রাখাইনের অপরাধ প্রমাণিত হলে আদালত তাকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে। অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদণ্ডের রায় দেয়। রায় ঘোষণার সময় আসামি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।