জামিন পেলেন নাজমুল হুদা

মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার বিরুদ্ধে মামলা করার অভিযোগে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে দুদকের পাল্টা মামলায় নাজমুল হুদাকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৪ নভেম্বর) ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে নাজমুল হুদা তার আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের জন্য আবেদন করেন।

পরে শুনানি শেষে আদালত আগামী ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে এই মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এ বদলির আদেশ দেন।

এর আগে, ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক মো. বেনজীর আহম্মেদ।

সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার বিরুদ্ধে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা ঘুষ নেওয়ার যে অভিযোগ করেছিলেন, তার কোনো প্রমাণ পাননি তদন্ত কর্মকর্তা। এ কারণে উল্টো নাজমুল হুদার বিরুদ্ধেই আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছেন দুদক।

২০১৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় এস কে সিনহার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।

মামলার অভিযোগে তিনি বলেছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তার বিরুদ্ধে হওয়া একটি মামলা উচ্চ আদালতে ডিসমিস করার পরও প্ররোচিত হয়ে মামলাটির রায় পরিবর্তন করা হয়। মামলাটি ডিসমিস করতে দুই কোটি টাকা ও অন্য একটি ব্যাংক গ্যারান্টির আড়াই কোটি টাকার অর্ধেক ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা উৎকোচ চান এসকে সিনহা।

পরে মামলাটি তদন্তের জন্য আসে দুদকে। দীর্ঘ দেড় বছর তদন্ত করে এসকে সিনহার বিরুদ্ধে নাজমুল হুদার মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়। আর মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগে উল্টো ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার বিরুদ্ধেই মামলা করে দুদক।

দুদক আইনের ২৮-এর ২ ধারায় বলা হয়েছে, কেউ যদি মিথ্যা তথ্য দিয়ে অভিযোগ দায়ের করে আর সেটি যদি তদন্তে বেরিয়ে আসে তাহলে অভিযোগ দায়েরকারীর বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। যেহেতু অভিযোগটি প্রমাণিত হয়নি তাই তার বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

পরে ২০২০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়-১-এ নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন।