বরিশাল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২১, ০৮:৪৭ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
মোটরসাইকেলে ঘুরে ঘুরে বরিশাল শহরের বিভিন্ন এলাকায় ইয়াবা পৌঁছে দিতেন তারা। তবে মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে সরকারি ব্রজমোহন কলেজের প্রথম গেটের বিপরীতে মল্লিক প্লাজার সামনে ধরা পড়ে চক্রটি।
গোয়েন্দা পুলিশ সাধারণ ইয়াবা ব্যবসায়ী ভেবে গ্রেফতার করলেও পরে জানা যায় তারা বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের কারারক্ষী। তিনজনের মধ্যে একজন পালিয়ে গেলেও এক কারারক্ষী ও তার সহযোগীকে ৫৫০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ পরিদর্শক রাফসান জানী বলেন, তাদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের বরিশাল অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জানা গেছে, বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের কারারক্ষী (ব্যাচ নং-৪১৯৬৭) সালাউদ্দিন রাজা, কারারক্ষী (ব্যাচ নং-৪২৬৭৪) ইয়াছিন খান এবং তাদের সহযোগী নাঈমুল ইসলাম জিতু মিলে বরিশাল শহরে দীর্ঘদিন ধরেই ইয়াবা ব্যবসা করে আসছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে বিএম কলেজ এলাকায় মোটরসাইকেলে করে ইয়াবা নিয়ে যান তারা। খবর পেয়ে মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালালে কারারক্ষী সালাউদ্দিন রাজা কৌশলে পালিয়ে যান। তবে গ্রেফতার হন অপর করারক্ষী ইয়াছিন খান এবং সহযোগী নাইমুল ইসলাম জিতু।
গোয়েন্দা উপ-পরিদর্শক রাফসান জানী জানান, তাদের দেহ তল্লাশিকালে নাইমুল ইসলাম জিতুর পরিহিত জিন্সের প্যান্টের বাম পাশের পকেট থেকে তিন প্যাকেটে ৫৫০ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য পৌনে তিন লাখ টাকা।
এদের মধ্যে প্রধান আসামি নাইমুল ইসলাম জিতু বরগুনা জেলার আমতলীর কুকুয়া ইউনিয়নের জসিম উদ্দিন মৃধার ছেলে। এছাড়া গ্রেফতারকৃত বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের কারারক্ষী ইয়াছিন খান বরগুনা জেলার বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়নের উত্তর কাকচিড়া গ্রামের শাহ আলম খানের ছেলে এবং পলাতক কারারক্ষী সালাউদ্দিন রাজা পটুয়াখালী জেলার বদরপুর ইউনিয়নের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে।
বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বনিক বলেন, ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে দুইজন কারারক্ষীর বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার বিষয়টি আমরা জেনেছি। তাদের মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে আদালত কারাগারে পাঠিয়েছেন। আমরা ওই কাররক্ষীকে আসামি হিসেবে কারাগারে পেয়েছি। অভিযুক্ত দুইজনের বিরুদ্ধেই বিধি মোতাবেক কারা কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিচ্ছে। ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত দুজন কারারক্ষী ওইদিনও কেন্দ্রীয় কারাগারে দায়িত্ব পালন করেছিল।