বেসরকারি শিক্ষকদের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবের একমাত্র পথ জাতীয়করণ

সৈয়দ শাহাদাত হোসাইন

প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২১, ১০:২৭ পিএম | আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২১, ০১:৩৮ পিএম

সৈয়দ শাহাদাত হোসাইন

সৈয়দ শাহাদাত হোসাইন

শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার, উন্নত দেশে শিক্ষার পুরোপুরি দায়িত্ব রাষ্ট্র বহন করে। তবে আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে একবারেই জাতীয়রকরণ করা সম্ভব না হলেও পর্যায়ক্রমে জাতীয়রকরণের পথে এগিয়ে যাওয়া উচিত। শিক্ষার নানান বিশৃঙ্খলা দূর এবং অর্থের অপচয় রোধে জাতীয়রকরণের কোনো বিকল্প নেই। 

সরকারি-বেসরকারি পাহাড়সম বৈষম্য নিয়ে বেসরকারি শিক্ষকদের জীবন অতিবাহিত হচ্ছে। চাকরি নিশ্চয়তা না থাকলে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেধাবীরা আসবে না এটাও স্বাভাবিক।বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিয়ে কেউ সরকারি স্কুল বা কলেজে চাকরি করে স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন অতিবাহিত করে। আবার কেউ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি করে জনম দুঃখ লেগেই থাকে। একদিকে কমিটির খবরদারি। অন্যদিকে প্রমোশন ও বদলিবিহীন শিক্ষকতা জীবন এক প্রকার জড় বস্তুর মতো।

এমনিতেই আমরা যদি চিন্তা করি- বার্ষিক প্রবৃদ্ধি যোগ হবার পর সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষকদের মধ্যে বর্তমানে বেতন ভাতার ক্ষেত্রে কিছুটা বৈষম্য দূর হলেও চাকরি নিশ্চয়তা, কমিটির খবরদারি বদলি, পদোন্নতি এবং অবসর গ্রহণের পর পেনশন এবং সারাবছর শিক্ষকদের বেতন থেকে কর্তনকৃত টাকা যথা সময়ে ফেরৎ না পাওয়া- এসব ব্যাপারগুলো বেসরকারি শিক্ষকদের জীবনকে অতিষ্ট করে তুলেছে।

বুঝলাম সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগদান করতে হলে বিভিন্ন পরীক্ষার সন্মুখীন হতে হয়; কিন্তু বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কি সহজ করা হয়েছে, তারাও বর্তমানে অনেক বাধা অতিক্রম করে বেসরকারি শিক্ষক হয়ে থাকেন। সুতরাং যোগ্যতার ক্ষেত্রে অনেকটা উনিশ ও সাড়ে উনিশ। তার জন্য এত বৈষম্যের শিকার হবে কেন? 

বাড়ি ভাড়া নেই। সরকারিদের মতো বেসরকারি শিক্ষকদের মাত্র একহাজার টাকা বলতে লজ্জা লাগে। মেডিকেল ভাতা মাত্র পাঁচশত টাকা। যেখানে সরকারিদের তিনগুন। সরকারি শিক্ষকরা চিকিৎসা করান এমবিবিএস ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আর বেসরকারি শিক্ষকরা বিনা চিকিৎসায় মারা যান। 

অনেকে বলেন- বেসরকারি শিক্ষকদের চাওয়ার কোন শেষ নাই। আমরা বলি- শিক্ষকদের চাওয়া-পাওয়া সব শেষ হবে যদি তাদের চাকরি জাতীয়রকরণ করা হয়। বেসরকারি শিক্ষকদের দুঃখ দুর্দশা লাগবের একমাত্র পথ হলো জাতীয়রকরণ, আশা করি সরকার বেসরকারি শিক্ষকদের প্রাণের দাবি পূরণে একমত হবেন।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh