প্রেসিডেন্ট ভোটে লড়তে পারবেন না গাদ্দাফির ছেলে সাইফ

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২১, ১১:০৩ এএম

 সাইফ আল-ইসলাম গাদ্দাফি

সাইফ আল-ইসলাম গাদ্দাফি

লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট পদে লড়তে চেয়েছিলেন দেশটির প্রয়াত নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির ছেলে সাইফ আল-ইসলাম গাদ্দাফি। তবে নির্বাচন কমিশন তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে। 

তারা জানিয়েছে, সাইফ গাদ্দাফির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার যোগ্যতা নেই। অপরাধমূলক কাজের জন্য সাইফ গাদ্দাফির শাস্তি হয়েছে। তাই তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ার যোগ্যতা হারিয়েছেন।

গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) কমিশনের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরে দেশটিতে এই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে।

গাদ্দাফি যুগের অবসানের পর লিবিয়াজুড়ে যে সংঘাত চলছে, এই নির্বাচনকে সেই সংঘাত থামানোর মাধ্যম মনে করা হচ্ছে। গত ১৪ নভেম্বর সাইফ আল-ইসলাম আল-গাদ্দাফি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।

এবারের নির্বাচনে সাইফ আল-ইসলামসহ মোট ৯৮ জন প্রার্থী প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। এই তালিকায় রয়েছেন লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় সামরিক বাহিনীর কমান্ডার খলিফা হাফতার, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আবদুলহামিদ আল দিবাহ, পার্লামেন্টের স্পিকার আজুলা সালেহ প্রমুখ।

তবে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য লড়াইয়ের তালিকায় থেকে সাইফ আল–ইসলামসহ ২৫ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছেন লিবিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী আলি জেইদান ও সাবেক সাংসদ নৌরি আবুসাহমাইন। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব রয়েছে, এমন অভিযোগে মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে খলিফা হাফতারের।

লিবিয়ার নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় নির্বাচনি আইন অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট পদে লড়াই করার যোগ্যতা হারিয়েছেন সাইফ। ২০১৫ সালে তার অবর্তমানে ত্রিপোলির একটি আদালত সাইফের নামে আমৃত্যু কারাদণ্ড ঘোষণা করেন। তার বিরুদ্ধে গাদ্দাফির আমলে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ ছিল। সাইফ নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন।

তাকে আন্তর্জাতিক ক্রিমিনাল কোর্টও খুঁজছে। সেখানে তার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আছে।

গণ-অভ্যুত্থানের মুখে মুয়াম্মার গাদ্দাফির সরকারের পতন ঘটে ২০১১ সালে। বিদ্রোহীদের হাতে আটক হওয়ার পর গাদ্দাফিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এরপর থেকে দেশটির বিভিন্ন পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। ওই সময় সাইফ আল–ইসলাম প্রথমে পালিয়ে যান। পরবর্তীতে আটক করে তাকে কারাগারে রাখা হয়। পরে মুক্তি পান তিনি।

লিবিয়ার কিছু পর্যবেক্ষকের মত ছিল, গাদ্দাফির ছেলে নির্বাচনে জিততে পারেন। আবার কিছু পর্যবেক্ষক মনে করেছেন, সাইফ নির্বাচনকে অস্থির করা ছাড়া আর কিছুই করতে পারবেন না।  

প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা আগামী ২৪ ডিসেম্বর। কিন্তু যেভাবে এই নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধছে, তাতে শেষপর্যন্ত ওই নির্বাচন হবে কি না, তা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। তবে জাতিসংঘ চায় নির্বাচন হোক। গত এক দশক ধরে লিবিয়ায় টালমাটাল পরিস্থিতি চলছে। নির্বাচন হলে পরিস্থিতি ভালো হবে বলে জাতিসংঘের মত।

তবে বেশ কিছু প্রধান দল নির্বাচনে অংশ নিতে চায় না। কোন আইনগত ভিত্তির উপর নির্বাচন হবে, সেটাও স্পষ্ট নয়।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh