শীতে ডাস্ট এলার্জি থেকে বাঁচার ঘরোয়া টোটকা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২১, ০৩:২২ পিএম

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

এলার্জি শব্দটার সাথে আমরা সবাই কম বেশি পরিচিত। আর ডাস্ট এলার্জিতে ভোগে না এমন মানুষ খুব কমই আছে। অনেকের সিজনাল ডাস্ট এলার্জি অর্থাৎ শীতকালে বাতাসের শুষ্কতার কারণে ডাস্ট এলার্জি বেশি হয়। আবার অনেকে সারাবছরই এই সমস্যায় পরেন। রাস্তাঘাটের ধুলাবালি, ঘরদোর পরিষ্কার করতে গিয়ে ডাস্ট এলার্জির শিকার হন অনেকেই। 

ধুলোর মধ্যে নানা আনুবীক্ষণিক জীবের বাস। এসব জীবাণুর আক্রমণেই অ্যালার্জি হয়ে থাকে। এর আক্রমণে শুধু হাঁচি-কাশি না, কারও কারও ক্ষেত্রে চোখ থেকে অনবরত পানিও পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে অ্যালার্জি থেকে শ্বাস পর্যন্ত বন্ধ হয়ে আসতে পারে। ত্বকে ঘামাচির মতো দানা দেখা যায় কোনো কোনো ক্ষেত্রে।

এরকম হলে চিকিৎসকের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া জরুরি। তবে চিকিৎসার পাশাপাশি অ্যালার্জির সমস্যার সঙ্গে লড়তে কিছু ঘরোয়া টোটকায়ও এই সমস্যার সমাধান মিলবে।

মধু 

মধু আপনাকে মুক্তি দিতে পারে ডাস্ট অ্যালার্জির সমস্যা থেকে। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে দুই টেবিল চামচ মধু খাবেন। আবার রাতে যখন ঘুমাতে যাবেন, তখনও দুই টেবিল চামচ মধু খাবেন। রাতে মধু খাওয়ার পর পানি না খেয়ে থাকতে পারলে সবচেয়ে ভালো। যদি খেতেই হয় তবে হালকা গরম পানি পান করবেন।

মধু খেলে উপকার পাওয়া যায় বলে একটু পরপর খেতে থাকবেন না। মধু আপনি খেতে পারেন দিনে দুইবার করে। ডাস্ট অ্যালার্জির কারণে অনেক সময় খুসখুসে কাশি হতে পারে। এই কাশিকে হালকা ভেবে অবহেলা করা ঠিক নয়। কারণ দ্রুত এর চিকিৎসা না করলে বুকে কফ বসে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর সমাধানে নিয়মিত মধু খাবেন। কারণ মধু খুসখুসে কাশি এবং বুকে বসে যাওয়া কফ দূর করতে কার্যকরী।

গ্রিন টি

প্রতিদিন চা-কফির অভ্যাসে রাশ টানুন। দিনে দু’-তিন বার গ্রিন টি-তে অভ্যস্ত হয়ে উঠুন। এর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট অ্যালার্জির সমস্যার সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে। চোখে লাল ভাব, র‌্যাশ বেরনো ইত্যাদি রুখতে এটি বিশেষ কার্যকর।

দুগ্ধজাত পদার্থ

খাওয়ার পাতে রাখুন টক দই, ছানা। এদের প্রোবায়োটিক উপাদান অসুখের জীবাণুর সঙ্গে যেমন লড়ে, তেমনই শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। সুতরাং, ধুলোবালি থেকে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে।

ঘি

প্রাকৃতিক ভাবেই যে কোনো অ্যালার্জি বা প্রদাহের সঙ্গে লড়াই করতে সক্ষম এই খাবার। এক চামচ খাঁটি ঘি তুলোয় ফেলে তা সরাসরি লাগান র‌্যাশে। আরাম মিলবে সহজে। এক চামচ করে ঘি খেলেও ঠান্ডা লাগা বা অ্যালার্জির প্রবণতা কমবে।

সবুজ শাকসবজি

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর সঙ্গে অ্যালার্জির প্রবণতা কমাতে গেলেও পাতে রাখুন সবুজ শাকসবজি। শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজের ভাণ্ডারও এই সবুজ শাকসবজি থেকে সহজেই মেলে।

আপেল সিডার ভিনেগার

আপেল সিডার ভিনেগারের অনেক উপকারিতার কথা জানেন নিশ্চয়ই। এর অন্যতম গুণ হলো এটি ডাস্ট অ্যালার্জি সারাতে সাহায্য করতে পারে। সেজন্য দুই টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার, এক গ্লাস হালকা গরম পানি ও এক চা চামচ মধু নিতে হবে। এরপর পানির সঙ্গে আপেল সিডার ভিনেগার ও মধু মিশিয়ে ছোট ছোট চুমুকে পান করুন। এটি চাইলে মধু ছাড়াও খেতে পারেন। এই মিশ্রণ দিনে দুই-তিনবার খেতে পারেন। মৌসুম পরিবর্তনের সময় এই পানীয় নিয়মিত পান করলে ডাস্ট অ্যালার্জির ভয় অনেকটাই কমে যাবে।

ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল

এই পদ্ধতির জন্য লাগবে ভেপারাইজার, পানি ও কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল। প্রথমে ভেপারাইজারে পানি গরম করে ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল ঢেলে নিন। এরপর ভাপ নিন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভাপ নেবেন। ডাস্ট অ্যালার্জি খুব বেশি হলে গোসলের সময় হালকা গরম পানিতে ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে সেই পানি দিয়ে গোসল করতে পারেন।

ইউক্যালিপটাস অয়েল 

মাথা যন্ত্রণা, নাক দিয়ে পানি পড়া ইত্যাদির হানা রুখতে এক বাটি গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল ফেলে তার ভাপ নিন। এতে বন্ধ নাক খোলে, নাকের ভিতরে অ্যালার্জির কারণে কোনো প্রদাহ হলে তা থেকেও রেহাই মেলে। 

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh