সুদানে পশুপালকদের মধ্যে সংঘাতে নিহত ৩৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২১, ১১:৪৮ পিএম

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সুদানের পশ্চিম দারফুর পশুপালকদের মধ্যকার চলা আটদিনের সংঘাতে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩৫ জন। গত ১৭ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই বন্দুকযুদ্ধ এখনও চলছে বলে বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন দারফুরের মানবিক সহায়তা বিষয়ক কমিশনার ওমর আবদেলকরিম।

আবদেলকরিম বলেন, সুদান ও তার প্রতিবেশী দেশ শাদের সীমান্তবর্তী জেবেল মুন পার্বত্য এলাকায় আরব জাতিভুক্ত পশুপালক ও সুদানের স্থানীয় জনগোষ্ঠীভুক্ত পশুপালকের মধ্যে শুরু হয় সংঘর্ষ। ওই এলাকার ১৬ টি গ্রাম ইতোমধ্যে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে বর্তমানে পশ্চিম দারফুরের জেবেল মুন পার্বত্য এলাকার হাজার হাজার মানুষ আক্ষরিক অর্থেই খোলা আকাশের নিচে রাতদিন কাটাচ্ছেন।

পশ্চিম দারফুরের গভর্নর খামিস আবদাল্লাহ এএফপিকে বলেন, উট লুটপাটের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় পশুপালক ও আরব পশুপালকের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয় এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যেই দুপক্ষের সশস্ত্র যুদ্ধে রূপ নেয় সেই বিরোধ।

সংঘাতের তীব্রতা থেকে বাঁচতে কিছু গ্রামবাসী ইতোমধ্যে সীমান্ত পেরিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ শাদে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে আবদাল্লাহ জানিয়েছেন, জেবেল মুন পার্বত্য এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ইতোমধ্যে সেনাবাহিনী পাঠানো হয়েছে এবং বর্তমানে সেখানকার পরিস্থিতি অনেকটাই শান্ত।

১৬ বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পৌঁছেছে পশ্চিম দারফুর। সুদানের তৎকালীন সরকার ওমর আল বশিরের বিরুদ্ধে জাতিগত বৈষম্যের অভিযোগে ২০০৩ সালে বিদ্রোহ ঘোষনা করে স্থানীয় একাধিক সশস্ত্র সংগঠন। ২০১৯ সালে বশিরের পদত্যাগ ও কারাবরণের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় এই গৃহযুদ্ধ।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ১৬ বছরের এই গৃহযুদ্ধে দারফুরে মারা গেছেন ৩ লাখেরও বেশি মানুষ, বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ২৫ লাখেরও বেশি।

গৃহযুদ্ধ যদিও শেষ হয়েছে, তবে দারফুরের পরিস্থিতির খুব উন্নতি হয়েছে- এমন বলার উপায় নেই। এখনও বিভিন্ন কারণে প্রায়ই সংঘর্ষ বেঁধে যায় স্থানীয় বাসিন্দা ও আরব জাতিভুক্তদের মধ্যে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh