আহমেদ সেলিম
প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর ২০২১, ০২:৪২ পিএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২১, ১২:৪৯ পিএম
খন্দকার এনায়েত উল্লাহ।
ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজি নিয়ে কথা সাম্প্রতিক দেশকালের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আহমেদ সেলিম।
তেলের দাম বাড়ানোর পর ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে। তারপরও ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য থামছে না কেন?
ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য থামাতে বিআরটিএ’র ৯ জন ম্যাজিস্ট্রেটের জন্য আমাদের মালিক শ্রমিকদের ৯টি টিম কাজ করছে। তারা রাস্তায় রাস্তায় মোবাইল কোট বসিয়ে নৈরাজ্য কমানোর চেষ্টা করছে। যারা নির্ধারিত ভাড়া থেকে বেশি ভাড়া নিচ্ছে, তাদের জরিমানা করা হচ্ছে। যেসব পরিবহন বেশি অনিয়ম করবে, তাদের রোড পারমিট বাতিল করা হবে। নৈরাজ্য আগের থেকে অনেক কমেছে। আশা করছি, সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তা কমে আসবে।
তেলের দাম কমলে কি ভাড়া কমবে?
হ্যাঁ, দেশের বাজারে তেলের দাম কমানো হলে আমরা ভাড়া কমিয়ে দেওয়া হবে।
নানা অজুহাতে যাত্রীদের পরিবহন বন্ধ করে যাত্রীদের জিম্মি করা কতটা যুক্তিযুক্ত?
আমরা কখনো ঢাকায় কিংবা ঢাকার বাইরে গাড়ি বন্ধ রাখি না। তবে তেলের দাম বাড়ার পর আমরা দুই-তিন দিন গাড়ি বন্ধ রেখেছিলাম। পরে আবার ঠিক করে ফেলেছি। আর সম্প্রতি শিক্ষার্থীরা হাফ ভাড়ার দাবীতে আন্দোলন করার কারণে সড়কে গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনার প্রেক্ষিতে কিছু সড়কে গাড়ি বন্ধ রাখতে হচ্ছে।
চালকের ওপর মালিকদের চাপ থাকে প্রতিদিন নির্দিষ্ট অংকের টাকা দেওয়ার। সেই টাকা আয় করতে চালকরা মরিয়া থাকেন। আবার চালকদের স্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হয় না। এটা নিয়ে আপনার বক্তব্য কী?
এই অভিযোগটি সঠিক নয়। কারণ যা আয় হবে, সেই টাকা দেবে। মালিকরা তাদের বেতন দেবে। আর গাড়ির চালক-হেলপাররা আজ থাকলে কাল চলে যায়। তাই স্থায়ীভাবে থাকতে চায় না; তাই নিয়োগপত্রও দেওয়া সম্ভব হয় না।
পরিবহন খাত থেকে বিভিন্ন নামে চাঁদা নেওয়া হয়। এটা বন্ধ হচ্ছে না কেন?
পরিবহন সেক্টর থেকে নানাভাবে চাঁদাবাজি হয়ে থাকে। চাঁদাবাজির বিষয়ে আমার ব্যাপক কাজ করেছি। এখন পরিবহন খাতের চাঁদাবাজি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। সারাদেশে চাঁদাবাজি বন্ধ রাখতে আমরা সবসময় সক্রিয় রয়েছি।
অনেক শিক্ষার্থীর অভিযোগ, তাদের কাছ থেকে হাফ ভাড়া নেওয়া হয় না। এ ব্যাপারে আপনার মন্তব্য কী?
বেসরকারি পরিবহন থেকে শিক্ষার্থীদের ‘হাফ ভাড়া’ নেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। ঢাকা শহরে হাজার হাজার শিক্ষার্থী দেখা যায়। প্রতিটি গাড়িতে ৮-১০ জন শিক্ষার্থী উঠে। এখন হাফ ভাড়া কীভাবে নেব। আর সরকার বিআরটিএকে ভর্তুকি দেয়, আমাদের ভর্তুকি দেয় না। তাহলে এই টাকা কে বহন করবে?
পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য কী করা দরকার?
পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। আমরাও কাজ করছি। শৃঙ্খলা অনেকটা ফিরে এসেছে। আশা করি, সুন্দর পরিবেশ ফিরে আসবে।