সুযোগ পেলেই প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরুন

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২১, ০৯:২৭ এএম | আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২১, ০৭:০৮ পিএম

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

বন্ধু হোক বা প্রিয়জন, পরস্পরের প্রতি স্নেহ ও ভালবাসা প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম হল আলিঙ্গন বা জড়িয়ে ধরা। না বলা কথা, বহুদিনের জমে থাকা অভিমান, ছোট ছোট দুঃখ, মুহূর্তেরা ঋণী হয়ে থাকে উষ্ণ আলিঙ্গনের কাছেই। কাছের মানুষকে নতুন করে কাছে টেনে আনতে কিংবা একে অপরের ভালোবাসায় মিশে যেতে এই আলিঙ্গনের কোনও জুড়ি নেই। 

সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা বলছে, এই আলিঙ্গন শুধুমাত্র আবেগ প্রকাশের মাধ্যমই নয়। এর মাধ্যমে মস্তিষ্ক থেকে একপ্রকার হরমোন নিঃসৃত হয়, যা শারীরিক ও মানসিক বিকাশে নানাভাবে সাহায্য করে।

গবেষণায় বলা হয়েছে, আলিঙ্গন একজন ব্যক্তির মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে সক্ষম। আলিঙ্গনবদ্ধ অবস্থায় অক্সিটোসিন হরমোন নিঃসৃত হয়, যার ফলে মস্তিষ্ক শান্ত থাকে। 

সমীক্ষা বলছে, ১০ সেকেন্ড বা তার বেশি সময় ধরে আলিঙ্গন করলে মনের উপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। বিশেষ করে খুব কাছের কোনও বন্ধু বা প্রিয়জন কেউ জড়িয়ে ধরলে মানসিক প্রশান্তি আসে। আর তাই আলিঙ্গনই বলে দেয় সম্পর্কের মানে।

জড়িয়ে ধরার উপকারিতা

জড়িয়ে ধরা ভালোবাসার চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ হলেও প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরায় স্বাস্থ্যগত উপকারিতাও কম নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে মানসিক প্রশান্তি মেলে। যা রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। এছাড়াও আলিঙ্গন আরও কিছু উপকারিতা তুলে ধরা হলো—

উচ্চ রক্তচাপ কমায় 

অবাক লাগলেও সত্যি যে প্রিয় মানুষকে আলিঙ্গনের ফলে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হ্রাস পায়। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলিনার এক সমীক্ষা প্রমাণ করেছে, মধুর আলিঙ্গনে অক্সিটোসিন নামের এক প্রকার হরমোনের ক্ষরণ বেশি মাত্রায় হয় এবং এতে করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

ঘুমে সাহায্য 

অনেকে স্বপ্নে ভালোবাসার মানুষকে আলিঙ্গনে খুঁজে পান। ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশন বলছে ঘুমানোর আগে যদি প্রিয় মানুষকে অল্প সময়ের জন্য হলেও নিবিড় আলিঙ্গনে রাখা যায়, তাহলে সেই আলিঙ্গন নাকি গভীর ঘুম আনতে সহায়তা করে। আর প্রাণশক্তি বাড়াতে ভালো ঘুমের বিকল্প কিছু নেই।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি  

সাইকোলজিক্যাল সায়েন্সের এক সমীক্ষা বলছে, নিবিড় আলিঙ্গনের সঙ্গে কর্টিসল নামের এক প্রকার হরমোনের ক্ষরণের সম্পৃক্ততা রয়েছে। কর্টিসল হরমোনের অতিরিক্ত ক্ষরণের ফলে ক্লান্ত হয়ে পড়ে শরীর, এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে। কিন্তু নিবিড় আলিঙ্গনের ফলে হরমোনের ক্ষরণ কমে আসে এবং এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

হৃদস্পন্দন ঠিক রাখে 

আলিঙ্গনের সময় অক্সিটোসিন নামে হরমোনের ক্ষরণে হৃদস্পন্দনের দ্রুত হার কমে আসে এবং এর জন্য হৃদস্পন্দনের দ্রুত হার স্বাভাবিক সীমায় চলে আসে। ফলে শরীর শান্ত ও ভালো থাকে।

এছাড়া আলিঙ্গন দ্রুত মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে, শারীরিক নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় ও মানসিক বিষণ্ণতা থেকে কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, দিনে অন্তত চার থেকে ১২ বার কাউকে আলিঙ্গন করা জরুরি। তা সম্ভব না হলে ভালোবাসার মানুষকে দিনে অন্তত ২০ সেকেন্ড জড়িয়ে থাকুন। সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।


সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh