শেষমেশ গণরুমেই ঠাঁই হলো জাবি শিক্ষার্থীদের

জাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২১, ০৫:৪৮ পিএম | আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২১, ০৭:২৫ পিএম

হলের সামনে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা

হলের সামনে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা

করোনার সংক্রমণ রোধে গণরুম ব্যবস্থা তুলে দেয়ার কথা থাকলেও শেষমেশ গণরুমেই উঠতে হলো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের। 

মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ হলের সামনে জড়ো হতে থাকে। দেশের একমাত্র পূর্ণ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে একটা সীটের প্রত্যাশা সবারই।

কিন্তু সারাদিন উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় কাঁটালেও মিলে নি কাঙ্খিত সিট। দিনশেষে ঠাঁই হয়েছে গণরুমে। 

নিজের রুমে ওঠার উচ্ছ্বাস নিয়ে কুড়িগ্রাম থেকে এসেছেন ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী সঞ্জয় কুমার। শেষ ঠিকানা গণরুমে হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় জেনেই জাবিতে ভর্তি হয়েছিলাম৷ এখন দেখছি একটা রুমে গাদাগাদি করে সবাইকে ঘুমাতে হবে। শীতের রাতে মেঝেতে ঘুমানো খুবই কষ্টকর ব্যাপার৷’

গণরুম ব্যবস্থা তুলে দেয়ার কথা থাকলেও পরবর্তীতে প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কমিটির সভাপতি ও বঙ্গমাতা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মোহা. মুজিবুর রহমান বলেন, ‘আবাসিক হলসমূহে সিটের সংকটের ব্যাপারে আমরা অবগত আছি। অন্তত ৫০% শিক্ষার্থীকে আবাসনের আওতায় আনার চেষ্টা করেছি৷ কিন্তু ৪৪ ব্যাচের অনেকেই এখনো হলে অবস্থান করায় এ সংকট এড়ানো যায়নি। তবে গণরুমগুলোতেও আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই নির্দিষ্ট দূরত্ব রেখে ছাত্রদের রাখা হয়েছে। কিছু গণরুমে খাট দেয়া হয়েছে।’

শিক্ষার্থীদের ঠিক কতদিন গণরুমে অবস্থান করতে হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ‘আমাদের নতুন হলগুলোর কাজ এ বছরের মধ্যেই শেষ হবে। আশা করছি আগামী এক-দেড় মাসের মধ্যেই আমরা ছাত্রদের গণরুম থেকে সিটের ব্যবস্থা করতে পারবো।’

প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণ কমে আসায় ১১ অক্টোবর থেকে আবাসিক হলসমূহ খুলে দেয় জাবি প্রশাসন৷ এর দশ দিন পর সশরীরে ক্লাস শুরু করলেও প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ৩০ নভেম্বর হলে উঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়৷

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh