হাবিপ্রবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২১, ০৬:২২ পিএম
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
উত্তরবঙ্গের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি সার্কুলার প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) হাবিপ্রবির রেজিস্ট্রার ও ভর্তি কমিটির সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. মো. ফজলুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয় ।
বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮টি অনুষদের ২৩টি ডিগ্রীর জন্যে ২০২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক পর্যায়ে বিভিন্ন অনুষদে ভর্তির জন্য আহ্বান করা হচ্ছে।
শর্তাবলী
১. ২০১৭/২০১৮ সালে এসএসসি এবং ২০১৯/২০২০ সালে এইচএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আগামী ৫ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে আগামী ১৫ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত আবেদন করতে পারবে (www.hstu.ac.bd)।
২. মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক বিজ্ঞান বিভাগের উভয়টিতে জিপিএ ৩.৫০ করে মোট জিপিএ ৮.০০ এবং মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগের জন্য জিপিএ ৩.২৫ করে মোট জিপিএ ৭.০০ থাকতে হবে।
৩. জিএসটি ভর্তি পরীক্ষায় ন্যূনতম ৩৫ মার্ক এবং কোটায় আবেদনের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৩০ মার্ক পেতে হবে।
৪. জিএসটি ভর্তি পরীক্ষার মোট ১০০ তে প্রাপ্ত নম্বর ও এসএসসি (১০) ও এইচএসসি (১০) মোট ১২০ নম্বর এর উপর ভিত্তি করে মেধা তালিকা তৈরি করা হবে।
৫. প্রতি ইউনিটের আবেদন ফি ৬০০ টাকা।
৬. বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা সকল ইউনিটে আবেদন করতে পারবে। তবে মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা শুধু বি ও সি ইউনিটে আবেদন করতে পারবে।
৭. আর্কিটেকচার বিভাগে ভর্তির জন্য ৫০ মার্কের পৃথক ড্রয়িং পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে আসন সংখ্যা প্রায় ৩২০টি কমায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে হাবিপ্রবিতে অধ্যায়নরত সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আসনসংখ্যা কমানোর ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হালদার জানান, শিক্ষার্থীদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মূলত ভর্তি কমিটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আশা করি যে সকল অনুষদে শিক্ষার্থী কমানো হয়েছে সেসকল অনুষদের সেসনজট কিছুটা কমে আসবে পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপর কিছুটা চাপ কমে যাবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি পেলে পুনরায় আসনসংখ্যা বাড়ানো হবে।
অন্যদিকে, স্নাতক প্রথমবর্ষে ভর্তির ক্ষেত্রে আসন সংখ্যা কমানোর ব্যাপারে জানতে চেয়ে হাবিপ্রবির উপাচার্যকে মুঠোফেনে কল দেয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
পক্ষান্তরে, সাধারণ শিক্ষার্থীদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র গণমাধ্যম সংগঠন হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি বছরের শুরুতে জরিপ করে। যেখানে শতকরা ৯০ জন শিক্ষার্থী আসন কমানোর ব্যাপারে মত পোষণ করেন।
উল্লেখ্য যে, জিএসটির অন্তর্ভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পুনরায় আবেদন ফি নেয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা।