অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত ইবি ক্যাম্পাস

ইমানুল সোহান

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২১, ০৯:১৪ পিএম

অতিথি পাখি

অতিথি পাখি

ঘন কুয়াশা শীতের সকাল ও গোধূলি লগ্নে আকাশে দেখা মিলে পাখির ঝাঁক। সারিবদ্ধ ডানা মেলে আকাশের বুকে আনন্দচিত্তে ওরা কলকাকলিতে মেতে ওঠে। তাদের আনন্দে আন্দলিত হয় প্রকৃতিও। প্রকৃতির পালাবদলে অতিথি পাখির আগমন ঘটে বাংলাদেশে। এসময় দেশের বিভিন্ন স্থানে অতিথি পাখির এমন দৃশ্যের দেখা মিলে। ঠিক এমনিভাবে শীত আসলেই অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয় কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।

জানা যায়, সুদূর সাইবেরিয়াসহ পৃথিবীর শীতপ্রধান দেশগুলো থেকে এসময় অতিথি পাখিরা বাংলাদেশে আসে। তারই ধারবাহিকতায় প্রতিবছর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় লেক সংলগ্ন পুকুর অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়। গত বছরের তুলনায় এবছর অধিক সংখ্যক পাখি এসেছে। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করছে। এখানে আসা বেশির ভাগ পাখিই হাঁসজাতীয়। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সরালি হাঁস। 

এছাড়া ল্যাঞ্জা হাঁস, খুনতে হাঁস, বালিহাঁস, মানিকজোড় প্রভৃতিও রয়েছে। আকাশে উড়ে বেড়ানোসহ জলকেলিতে মেতে উঠছে এসব পাখি। পুকুরে কেউ সাঁতার কাটছে, কোনোটা মনের সুখে উড়ে বেড়াচ্ছে আকাশে, আবার কোনোটা গাছের এ-ডাল থেকে ও-ডাল ঘুরে নেমে আসছে পানিতে। কিছু আবার পালকের ভিতর মুখ গুঁজে রোদ পোহাচ্ছে। পাখিদের এ রকম খুনসুটি আর কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস।

তবে পাখি আসলেও কয়েকদিন পরে ফের উড়ে যায়। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় এমনটি ঘটে বলে অভিযোগ করেছেন দর্শনার্থীরা। পুকুর জুড়ে কচুরিপানা থাকায় পাখিরা স্বাচ্ছন্দ্যে বিচরণ করতে পারছে না বলেও দর্শনার্থীদের অভিযোগ। 


এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী ওবাইদুর রহমান আনাস বলেন, ‘প্রতিবছর অতিথি পাখি আসতে দেখি কিন্তু কয়েকদিন পরে পাখিগুলো উড়ে যায়। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পুরোপুরি উদাসীন। পুকুর কচুরিপনাসহ ময়লা ফেলানো হয়, ফলে পাখিরা মুখ ফিরিয়ে চলে যায়।’

বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক টিপু সুলতান বলেন, ‘এবছর অতিথি পাখিগুলো ধরে রাখতে আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করছি। যাতে পাখিগুলো উড়ে না যায়।’

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh