ব্যবসায়ীকে আটকে রাখার অভিযোগ কাদের মির্জার বিরুদ্ধে

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১২:১৭ পিএম

 বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা

বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা

নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভা ভবনে এক ব্যবসায়ীকে প্রায় সাত ঘণ্টা আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে।  

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী রূপক মজুমদার (৪০)। তিনি বসুরহাট বাজারের এইচ আর সিটি কমপ্লেক্স মার্কেটের সাথী টেলিকমের প্রোপাইটর।  

গতকাল সোমবার দুপুর ১টার দিকে মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে বসুরহাট জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে তাকে তুলে নিয়ে সাত ঘণ্টা আটকে রাখা হয় বলে জানিয়েছে একাধিক ব্যবসায়ী।

এইচ আর সিটি কমপ্লেক্স বিপণিবিতানের (মার্কেট) মালিক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, বেলা একটার দিকে তার মার্কেটের ব্যবসায়ী রূপক মজুমদার দোকান থেকে বের হন। এরপর বসুরহাট বাজারের জিরো পয়েন্ট এলাকা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও তাঁর অনুসারীদের সামনে পড়েন। মেয়র তার অনুসারীদের নির্দেশ দেন রূপককে তুলে নিয়ে পৌরসভায় আটকে রাখার জন্য। তাৎক্ষণিক তাকে তুলে নিয়ে যান মেয়রের অনুসারীরা।

পরে রাত পৌনে আটটার দিকে কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ রূপক মজুমদারকে উদ্ধার করে প্রথমে থানায় নেন। পরে সেখান থেকে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।

অভিযোগের বিষয়ে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার মুঠোফোনে সোমবার সন্ধ্যায় একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।  পরে তার মুঠোফোনে অভিযোগের বিষয়ে খুদে বার্তা পাঠানো হলে জবাবে জানান, ‘একজন হিন্দুর বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা মামলা করিয়েছেন রূপক। তাই তাকে জিজ্ঞেস করতে ডাকা হয়েছে। কোনো আটক বা তুলে আনা হয়নি।’

গতকাল সন্ধ্যা ৬টা ৯ মিনিটে ব্যবসায়ী রূপক মজুমদারের মুঠোফোনে কল দেয়া হলে তিনি ধরেন। তাকে বেঁধে রাখা হয়েছে কিনা, জানতে চাইলে না সূচক জবাব দেন। পাল্টা প্রশ্নে তাকে সেখানে কীভাবে রাখা হয়েছে, জানতে চাইলে ফোনের সংযোগ কেটে দেয়া হয়। এরপর একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও আর রিসিভ করেননি।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ হোসেন রোমেন সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় বলেন, আমি শুনেছি, প্রায় আধা ঘণ্টা আগে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।’ পরবর্তী সময়ে পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ ব্যবসায়ী রূপককে উদ্ধারের বিষয়ে পুনরায় ফোন দিলে ওসি বলেন, ‘আমি মিটিংয়ে আছি, পরে কথা বলেন।

রাত সাড়ে আটটার দিকে কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান বলেন, তিনি মিটিংয়ে আছেন। ব্যবসায়ী রূপক থানায় আছেন।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh