কিউবায় রেকর্ড ৭০ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতি

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২১, ১২:২৪ পিএম

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

একদিকে করোনাভাইরাস, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক নিষেধাজ্ঞা। এর ফলে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে কিউবা। 

গতকাল মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) দেশের অর্থমন্ত্রী আলেজান্দ্রো গিল জানিয়েছেন, এই বছরের শেষে মুদ্রাস্ফীতি ৭০ শতাংশে গিয়ে পৌঁছাবে। ২০২২ সালে আর্থিক সংস্কার না করলে অর্থনীতি আরও ভয়াবহ জায়গায় পৌঁছাবে। 

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারি পরিসংখ্যানে মুদ্রাস্ফীতি অনেক কমিয়ে বলা হয়েছে। বাস্তবে কিউবার মুদ্রস্ফীতি ১০০ থেকে ৫০০ শতাংশের মধ্যে।

তাদের বক্তব্য, দ্বীপ রাষ্ট্রটি বিপুলভাবে পর্যটনের উপর নির্ভরশীল। করোনার সময়ে পর্যটন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। করোনাকালে কিউবার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ১০ শতাংশেরও বেশি। 

অন্যদিকে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কিউবার উপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে ছিলেন, যা এখনও বহাল আছে। আর এই বিষয়টিও অর্থনীতির উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।

আরও একটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ, চলতি বছরেই কিউবা দ্বৈত অর্থনীতি থেকে বেরিয়ে এসেছে। এতদিন দেশের ভিতর বেচাকেনা কিউবার মুদ্রা পেসোতে হতো। আর বৈদেশিক বেচাকেনা হতো মার্কিন ডলারে। সরকার ডলারের ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছে। এর ফলে কালোবাজারি বেড়ে গিয়েছে বলে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য। খোলা বাজারে যখন এক ডলারে ২৪ পেসোর দাম নির্ধারিত, তখন কালো বাজারে এক ডলার বিক্রি হচ্ছে ৭৪ পেসোয়। কালোবাজারের এই রমরমার কারণেও অর্থনীতি ডুবছে।

গিল জানিয়েছেন, ২০২২ সালে সংস্কারের মাধ্যমে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পর্যটন বাড়বে বলেও মনে করছে সরকার। -ডয়চে ভেলে


সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh