ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মেয়েদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ফুটবল

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২১, ০৮:৪১ পিএম | আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২১, ০৮:৪২ পিএম

অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ফুটবল দলের সদস্য দুই বোন আনাই ও আনুচিং

অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ফুটবল দলের সদস্য দুই বোন আনাই ও আনুচিং

সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ফুটবলের ফাইনালে ১-০ গোলে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। মেয়েদের ফুটবলে শুরু থেকেই দেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মেয়েদের অংশগ্রহণ বেশি দেখা গেছে।

এমনকি দক্ষিণ এশিয়ায় মেয়েদের ফুটবলে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করা দলের ১১ সদস্যের মধ্যে ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মেয়ের সংখ্যা ছিল পাঁচজন।

গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনটি পার্বত্য জেলা, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, সিলেট এবং উত্তরাঞ্চলীয় জেলাগুলো থেকে ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মেয়েরা ফুটবলে বেশ নিয়মিত অংশ নিচ্ছে।

আর মেয়েদের ফুটবল দলে কেবল খেলা নয়, বিভিন্ন সময় দলের নেতৃত্বও দিয়েছেন ক্ষুদ্র জাতিসত্তা থেকে আসা মেয়েরা। এমনকি সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ এর শিরোপা জেতানো দলটির নেতৃত্বে ছিলেন মারিয়া মান্ডা।

তিনি ময়মনসিংহের সীমান্তঘেঁষা ধোবাউড়া উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম কলসিন্দুরের মেয়ে। মেয়েদের ফুটবল দলে কেবল খেলা নয়, বিভিন্ন সময় দলের নেতৃত্বও দিয়েছেন ক্ষুদ্র জাতিসত্তা থেকে আসা মেয়েরা।

মেয়েদের ফুটবলে কলসিন্দুরের নামডাক আলাদা। এ পর্যন্ত গারো পাহাড়ের কোল ঘেঁষা কলসিন্দুরের ১০ জনের বেশি মেয়ে বাংলাদেশের জাতীয় ফুটবল দলে খেলেছেন।

২০১৬ সালে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ মহিলা ফুটবল বাছাই পর্বে উতরে মূল পর্বে উঠেছিল বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল, যে দলে ১১ জনের মধ্যে নয়জনই ছিলেন কলসিন্দুরের।

ফুটবল সংশ্লিষ্ট মানুষেরা বলছেন, দক্ষিণ এশিয়ায় পর্যায়ে মেয়েদের বয়সভিত্তিক দলগুলো গত কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে ভালো করছে। এর আগে সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ টুর্নামেন্টেও বিজয়ী হয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। তার আগে জিতেছিল অনূর্ধ্ব-১৬ শিরোপা।

কেবল মাঠে বল পায়ে দৌড়ানো নয়, কোচও হচ্ছেন এই মেয়েরা। সম্প্রতি জয়া চাকমা বাংলাদেশের প্রথম নারী ফিফা রেফারি হিসেবে স্বীকৃতি পান।

সাবেক ফুটবলার মিজ চাকমা ২০১৯ সালে ফিফার পঞ্চম নারী রেফারী হিসেবে যুক্ত হন।

মেয়েদের ফুটবল দলে ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মেয়েরা বেশি আসছেন, এমনটি বলতে চাননি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন বাফুফের নারী ফুটবল বিভাগের চেয়ারম্যান মাহফুজা কিরণ।

তিনি বলছেন, ‘এখন সমতলের মেয়েরাই সংখ্যায় বেশি আসছে। তবে আমার অভিজ্ঞতায় যেটা দেখেছি তা হচ্ছে পাহাড়ের মেয়ে হবার কারণেই ওদের শারীরিক ফিটনেস ভালো থাকে এবং ওরা খেলাধুলায় অনেক আগ্রহী থাকে। এছাড়া তাদের মধ্যে ধারাবাহিকতা বেশি থাকে এবং ঝরে পড়ার হার কম থাকে।’

মাহফুজা কিরণ বলছেন, এসব কারণে মেয়েদের জাতীয় এবং বয়সভিত্তিক দলগুলোতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মেয়েরা ভালো করছে।

তিনি বলছেন, পাহাড় এবং সমতল সবখানে মেয়েদের মধ্যে ফুটবলকে জনপ্রিয় করার জন্য বাফুফে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

মাহফুজা বলেন, ‘বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা নারী স্কুল টুর্নামেন্ট’ চলছে গত কয়েক বছর ধরে, মূলত তার মাধ্যমেই গত ৮-১০ বছরে দেশে মেয়েদের ফুটবলে অংশগ্রহণ বাড়ছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh