একাত্তরের গণহত্যার স্বীকৃতি দিলো যুক্তরাষ্ট্রের লেমকিন ইনস্টিটিউট

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ০১ জানুয়ারি ২০২২, ০৩:১৭ পিএম | আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২২, ০৩:২০ পিএম

প্রথম প্রহরে ঢাকায় ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়। ফাইল ছবি

প্রথম প্রহরে ঢাকায় ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়। ফাইল ছবি

একাত্তরে বাংলাদেশিদের উপরে পাকিস্তানিদের নির্মম হত্যাযজ্ঞকে ‘জেনোসাইড বা গণহত্যা’ বলে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান লেমকিন ইনস্টিটিউট ফর জেনোসাইড প্রিভেনশন।

বিশ্বে গণহত্যা নিয়ে কাজ করে প্রতিষ্ঠানটি। এর মধ্য দিয়ে একাত্তরের পাকিস্তানিদের হত্যাযজ্ঞ যুক্তরাষ্ট্রেও গণহত্যার স্বীকৃতি পেল এবং বৈশ্বিক স্বীকৃতি পাওয়ার পথ সুগম হলো। 

এই স্বীকৃতির জন্য শহীদ সাংবাদিক সিরাজউদ্দিন হোসেনের ছেলে তৌহিদ রেজা নূর গত বছরের নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে আবেদন করেছিলেন।

গতকাল শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) রাতে লেমকিন ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে ই-মেইলে পাঠানো বিবৃতিতে এই স্বীকৃতির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানান তৌহিদ।

জেনোসাইডের স্বীকৃতির বিষয়ে বিবৃতিতে লেমকিন ইনস্টিটিউটর পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘লেমকিন ইনস্টিটিউট ভুক্তভোগীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ও অপরাধীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য জেনোসাইডের স্বীকৃতি দিতে জাতিসংঘসহ সব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।’

স্বীকৃতির প্রতিক্রিয়ায় তৌহিদ বলেন, লেমকিন ইন্সটিটিউটের এই স্বীকৃতি সম্ভবত বিশ্বের প্রথম কোনও জেনোসাইড বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে সংঘটিত জেনোসাইডের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি প্রদান। আমি মনে করি লেমকিন ইন্সটিটিউটের এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তীতে এক অমূল্য উপহার। যার মাধ্যমে বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে সংঘটিত জেনোসাইডের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রাপ্তির দ্বার উন্মোচন হলো এবং সময় পরিক্রমায় আরও অনেক সংগঠন ও দেশ বাংলাদেশে সংঘটিত জেনোসাইডের স্বীকৃতি প্রদান এগিয়ে আসবে।

লেমকিন ইনস্টিটিউট ফর জেনোসাইড প্রিভেনশনের নামকরণ করা হয়েছে পোলিশ রাফায়েল লেমকিনের নামানুসারে। যাকে ‘জেনোসাইড’ শব্দটির উদ্ভাবক বলা হয়।

বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনকে চিরতরে স্তব্ধ করে দেওয়ার জন্য একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে এ দেশের নিরস্ত্র মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামের ওই অভিযানে প্রথম প্রহরে ঢাকায় ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়। এরপর ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধে হত্যা করা হয় ৩০ লাখ মানুষকে।

তৌহিদ জানান, লেমকিন ইনস্টিটিউটের এই স্বীকৃতির ব্যাপারে মুখ্য ভূমিকা রেখেছেন জেনোসাইডসহ আন্তর্জাতিক অপরাধ বিষয়ে কর্মরত আইনজীবী আইরিন ভিক্টোরিয়া মেসিমিনো এবং ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ার অধ্যাপক ও ডিপার্টমেন্ট অব হলোকস্ট অ্যান্ড জেনোসাইড স্টাডিজের চেয়ার এলিসা ভন জোডেন ফর্জে।


সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh