‘জ্যাকুলিনের সঙ্গে আমার অন্তরঙ্গ সম্পর্ক ছিল’

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ০২ জানুয়ারি ২০২২, ১১:২৯ এএম

জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ

জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ

বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজকে নিয়ে ফের মুখ খুললেন সুকেশ চন্দ্রশেখর। তিনি স্বীকার করেছেন, জ্যাকুলিনের সঙ্গে তার অন্তরঙ্গ সম্পর্ক ছিল। 

বর্তমানে ২০০ কোটি রুপির তছরুপ মামলার তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। সেই সূত্রেই সুকেশকে জেরার সময়ে তিনি জানিয়েছেন জ্যাকুলিনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তার। বিভিন্ন সময়ে জ্যাকুলিনকে দামি উপহার দিয়েছেন। 


তার দাবি যে একেবারে মিথ্যে নয়, তা স্পষ্ট নায়িকার সঙ্গে সুকেশের অন্তরঙ্গ ছবি ভাইরাল হওয়ায়।

সম্প্রতি সামনে এসেছে আইনজীবীকে জেল থেকে লেখা সুকেশের চিঠির বয়ান। সেখানে তিনি বলেছেন, জ্যাকুলিনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল বলেই তো তাকে এত দামি দামি উপহার দিয়েছেন। তবে ভালোবাসার মানুষকে আড়ালও করার সব চেষ্টা করেছেন সুকেশ। জানিয়েছেন আর্থিক তছরুপের সঙ্গে কোনও যোগ নেই জ্যাকুলিনের। এ বিষয়ে জ্যাকলিন কিছু জানেনই না। 


এখানেই শেষ নয়। জ্যাকুলিন ছাড়াও বলিউডে তার অন্যান্য ‘বন্ধুবান্ধব’ নিয়েও চিন্তায় আছেন সুকেশ। তিনি জানিয়েছেন, বলিউডে তার বন্ধুদের অযথা হেনস্থা করা হচ্ছে। তাকে বদনাম করা হচ্ছে যাতে ভবিষ্যতে এই ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে কোনও ব্যবসা না করতে পারেন তিনি।

প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত একাধিকবার জ্যাকুলিনকে আর্থিক তছরুপ মামলায় জেরা করা হয়েছে। চার্জশিটে নায়িকার যে বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে তাতে তিনি দাবি করেছেন, ‘২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে সুকেশের সঙ্গে আমার আলাপ, কথাবার্তা। ২০২১ সালের আগস্ট মাসে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তারপর থেকে আর কোনও যোগাযোগ হয়নি আমাদের। সুকেশ আমাকে বলেছিলেন, উনি সান টিভির মালিক ও জয়ললিতার পরিবারের সদস্য।’ 


তিনি আরও জানান, তার বোন সুকেশ চন্দ্রশেখরের থেকে দেড় লাখ মার্কিন ডলার লোন নিয়েছিলেন। ১৫ লাখ রুপি সুকেশ তার ভাইয়ের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেন, যিনি অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন।

জ্যাকুলিন ছাড়াও নোরা ফতেহিকেও একাধিক দামি উপহার দিয়েছেন সুকেশ। এছাড়াও তার যোগাযোগ রয়েছে শ্রদ্ধা কাপুর, শিল্পা শেঠি ও হারমন বাওয়েজার সঙ্গে। 


সুকেশ জানিয়েছেন, হারমনের পরবর্তী ছবি ‘ক্যাপ্টেন’ সহপ্রযোজনার কথা ছিল তার। এই ছবিতে অভিনয় করছেন কার্তিক আরিয়ান। - এই সময়

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh