এবার মেঘনা নদীতে সুরভী-৯ লঞ্চে আগুন আতঙ্ক

বরিশাল প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০২২, ০৯:৫৮ এএম

 চাঁদপুরের মোহনপুর লঞ্চঘাটে লঞ্চটি দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। ছবি : বরিশাল প্রতিনিধি

চাঁদপুরের মোহনপুর লঞ্চঘাটে লঞ্চটি দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। ছবি : বরিশাল প্রতিনিধি

এবার মাঝ নদীতে আগুন আতঙ্কে বরিশাল-ঢাকা নৌ রুটের এমভি সুরভী-৯ লঞ্চ আটকে দিয়েছে নৌ-পুলিশ। যাত্রীদের কাছ থেকে ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে চাঁদপুরের মোহনপুর লঞ্চঘাটে লঞ্চটি আটকে দেয়া হয়।

এ নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও সবাই নিরাপদে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন চাঁদপুরের মোহনপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর ওয়াহেদুজ্জামান।

গতকাল শনিবার (৮ জানুয়ারি) রাত ১২টার দিকে মতলব উত্তরের মোহনপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চটির ইঞ্জিন রুমে আগুন লাগে। ছড়িয়ে পড়ার আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসায় হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি।

বিআইডব্লিউটিএ’র বন্দর কর্মকর্তা কায়সারুল ইসলাম রাত ১টায় জানান, লঞ্চের ইঞ্জিনে আগুন ধরার পর কিছু সময়ের মধ্যে তা নিভিয়ে ফেলতে সক্ষম হন কর্মীরা। ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে লঞ্চটি।

ওয়াহেদুজ্জামান বলেন, ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়। তারা লঞ্চটির ইঞ্জিন রুমসহ সার্বিক বিষয়ে তল্লাশি ও খোঁজখবর নিয়েছে।

এমভি সুরভী-৯ লঞ্চে ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশে যাত্রা করা যুনাইদ খন্দকার নামে এক কলেজছাত্র বলেন, লঞ্চটি ঢাকা সদর ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়ার ঘণ্টা কয়েক পরে চাঁদপুরের মোহনপুর লঞ্চ ঘাটে নোঙর করা হয়। যাত্রীরা নাকি লঞ্চটির ইঞ্জিন রুম থেকে আগুনের ধোয়া বের হতে দেখেছে। এনিয়ে তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে কোন একজন যাত্রী ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে সহযোগিতা চান। এর পর পরই পুলিশ চাঁদপুরের মোহনপুর সুরভী-৯ লঞ্চটি আটকে দেয়।

ওই যাত্রী বলেন, প্রথমে একটু হই-হুল্লুর হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ আসার পরে সবাই শান্ত হয়েছে। লঞ্চটি বাইরে থেকে আটকে দেয়া হয় এবং পুলিশ লঞ্চ স্টাফদের সাথে কথা বলছে। 

তবে লঞ্চের একজন স্টাফ জানিয়েছেন, কোনও আগুন বা ধোয়া হয়নি। লঞ্চটি এক ইঞ্জিনে চলছিল। এ কারণে কোনও এক যাত্রী ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে অভিযোগ করেছে। এ কারণে শত শত যাত্রী মাঝ রাতে ভোগান্তিতে পড়ছে।

সম্প্রতি ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুনের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় অসংখ্য যাত্রী হতাহতের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকেই নৌ পথে লঞ্চগুলোতে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh