রাতে কারিগরি কমিটি বৈঠক

প্রাথমিক বন্ধ, মাধ্যমিক চালু রাখার চিন্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০২২, ০২:০১ পিএম | আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২২, ০২:০৮ পিএম

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। ফাইল ছবি

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। ফাইল ছবি

দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় স্কুল-কলেজ ফের বন্ধ ঘোষণা করা হতে পারে এমন শঙ্কায় রয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

এদিকে দেশে করোনার প্রাদুর্ভা্ব বেড়ে গেলে প্রয়োজনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা সবার আগে। কারিগরি পরামর্শক কমিটির সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত।

রবিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইউ) ৯ম সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, আজকে রাতে আমাদের সঙ্গে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শ কমিটির সভা রয়েছে। সেখানে সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা করে এবং আমাদের কি কি অপশন আছে সেগুলো সব দেখবো। তাছাড় কিভাবে স্বাস্থ্য বিধি পুরোপুরি বজায় রেখে যেহেতু এখন টিকাদান কার্যক্রমটি জোরেসোরে চলছে এবং সবাইকে টিকার আওতায় নিয়ে এসে কিভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখতে পারি সে ব্যাপার আমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবো।

“তবে এটাও ঠিক যদি মনে হয় যে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখলে আসলে সংক্রমণ বাড়বে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সংক্রমণ কারণে বাড়ার আশঙ্কা থাকলে তখন বন্ধ করে দেবো। তবে এখনও যে অবস্থায় আছে আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সুরক্ষিত রেখে কিভাবে সংক্রমণে যেন না ছড়ায় সেই প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।”

এর আগে, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ১২ বছরের বেশি বয়সের শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রমের ওপর বেশি জোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। তবে এর আওতায় প্রাথমিকস্তরের শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা ১২ বছরের নিচে, তারা টিকার যোগ্য নয়। আমাদের শিক্ষকদের টিকা দেওয়া হয়েছে। যদি ১২ বছরের নিচের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় তখন সেই সিদ্ধান্ত মানবো।  

করোনা সংক্রমণ বেড়ে গেলে এবং টিকার সিদ্ধান্ত না পেলে কি প্রাথমিক স্তরের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে আমরা সেটাই করবো।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণ বেড়ে গেলে যারা টিকা নেওয়ার পর্যায়ে পড়ে না সেই ১২ বছর বয়সীদের নিচে অর্থাৎ প্রাথমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে হয়তো শুরুতে বন্ধ করা হবে। তবে এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে রবিবার (৯ জানুয়ারি) করোনা বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে বৈঠক করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শনিবার (৮ জানুয়ারি) রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে চাই না। আমরা চাই আমাদের শিক্ষার্থীরা যেন টিকা নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসে। সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। তার সাথে হয়তো একটু অসুবিধা হতে পারে যারা ১২ বছরের কম বয়সী, তাদের নিয়ে একটু সমস্যা হতে পারে। আমরা সেই বিষয় নিয়েও কাজ করছি।

তিনি বলেন, আমাদের ধারণা মার্চ-এপ্রিলে সংক্রমণ বাড়ে। কিন্তু যে পরিমাণে বাড়তে শুরু করেছে তাতে পরিকল্পনায় কিছুটা সমন্বয় দরকার হবে।

উল্লেখ্য, গত কয়েক দিন ধরে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে দেশে। শনিবার (৮ জানুয়ারি) শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ১১৬ জন, আর মৃত্যু হয়েছে একজনের। এদিন শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh