প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০২২, ০৩:৫৮ পিএম
গ্রামেও তাণ্ডব চালায় দস্যুরা। ছবি : এএফপি
নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য জামফারার কয়েকটি গ্রামে সশস্ত্র দস্যুদের হামলায় দুই শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। গতকাল স্থানীয় বাসিন্দারা এ তথ্য জানান।
চলতি সপ্তাহে দস্যুদের গোপন আস্তানায় সামরিক বাহিনীর বিমান হামলার ঘটনায় প্রতিশোধ নিতে তারা গ্রামবাসীদের ওপর বর্বরোচিত এ হামলা চালায়।
গ্রামবাসীরা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, মরদেহগুলো গণকবরে সমাহিতের জন্য সেনাবাহিনী স্থানীয় সম্প্রদায়ের খোঁজ করার পর গতকাল শনিবার (৮ জানুয়ারি) তারা গ্রামগুলোতে প্রবেশাধিকার পান।
যদিও রাজ্য সরকার বলছে, দস্যুদের হামলায় মোট ৫৮ জন নিহত হয়েছে।
হামলায় স্ত্রী ও ৩ সন্তান হারানো উম্মারু মাকেরি বলেন, ইতিমধ্যে ১৫৪ জনের মরদেহ দাফন করা হয়েছে। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন- নিহতের সংখ্যা অন্তত ২০০ জন।
বলরবে আলহাজী স্থানীয় কমিউনিটর নেতা। দস্যুদের তাণ্ডবে তার বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি বলেন, হামলায় নিহত ১৪৩ জনকে দাফন করেছি।
জামফারার আঙ্কা এলাকায় দস্যুদের হামলায় কমপক্ষে ৩০ জন নিহত হয়েছেন। এর আগে, মঙ্গলবার থেকে মোটরসাইকেলে করে তিন শতাধিক সশস্ত্র দস্যু আটটি গ্রামে ঢুকে হামলা চালায়।
নাইজেরিয়ায় সামরিক বাহিনী জানায়, গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে গত সোমবার ভোরে জামফারার গুসামি বন ও পশ্চিম সামরে গ্রামে দস্যুদের গোপন আস্তানায় বিমান হামলা চালানো হয়। সেসব বিমান হামলায় শতাধিক দস্যু নিহত হওয়ার দাবি করেছে সেনাবাহিনী।
পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্রামবাসী রয়টার্সকে বলেন, গ্রামে দস্যুদের হামলার সঙ্গে সামরিক হামলার যোগসূত্র থাকতে পারে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, কেউকে দেখা মাত্রই গুলি করেছে হামলাকারীরা। ১০টি গ্রামে তাণ্ডব চালিয়েছে অজ্ঞাত হামলাকারীরা। এখনও অনেকে নিখোঁজ। তাদের সন্ধান চালানো হচ্ছে। নিহতদের অনেকের পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।
নাইজেরিয়ায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তৎপরতা দিনদিন বেড়েই চলছে। প্রায় সময় অপহরণ, গুম, হত্যার মতো ঘটনা ঘটিয়ে আসছে। এই সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে নির্মুলে দীর্ঘদিন ধরে অভিযান চালিয়ে আসছে নিরাপত্তা বাহিনী।