রহমতগঞ্জকে হারিয়ে শিরোপা জিতল আবাহনী

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০২২, ০৮:২৬ পিএম

জয়ের পর উল্লাসরত মারিও ল্যামস বাহিনী

জয়ের পর উল্লাসরত মারিও ল্যামস বাহিনী

সর্বোচ্চ ১২ বার ফেডারেশন কাপের শিরোপা জিতে নিজেদের নতুন রেকর্ড দখলে নিল ঢাকা আবাহনী। রবিবার (৯ জানুয়ারি) ফাইনালে রহমতগঞ্জ এমএফসিকে হারিয়ে টুর্নামেন্টের ৩৩তম আসরের শিরোপা ঘরে তুলেছে আবাহনী।

স্বাধীনতা কাপের পর ফেডারেশন কাপের শিরোপাও নিজেদের করে নিল মারিও লেমসের দল। প্রথমবার শিরোপা জেতার ইতিহাস গড়া হলো না সৈয়দ জিলানীর রহমতগঞ্জের।

বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে রহমতগঞ্জকে ২-১ গোলে হারায় আবাহনী। ড্যানিয়েল কলিনদ্রেসের গোলে লিড নেয় আবাহনী। রাকিব হোসেনের গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে। পরে ফিলিপ আদজাহর গোলে ব্যবধান কমায় রহমতগঞ্জ।

ম্যাচ হারলেও প্রথমার্ধজুড়ে আবাহনীর ওপরে আধিপত্য বিরাজ করে রহমতগঞ্জ।

অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার রাফায়েল আগুস্তো ও ফরোয়ার্ড ডরিয়েল্টন গোমেজকে ছাড়া রং হারায় আবাহনী। ম্যাচের শুরু থেকে নিজেদের ছায়া হয়ে ছিল আকাশি-নীল জার্সিধারীরা। আর পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে।

ম্যাচের ১২ মিনিটে বেঁচে যায় আবাহনী। আশরাফুলের চিপ পাস অফসাইডের ফাঁদ পেরিয়ে একা পেয়ে যান রহমতগঞ্জের ফরোয়ার্ড সানডে চিজোবা। বক্স থেকে বাইরে চলে আসা আবাহনী গোলকিপার শহীদুল আলম সোহেলের মাথার ওপর দিয়ে মারেন এ নাইজেরিয়ান। তবে চিপ লক্ষ্যচ্যুত হওয়ায় হতাশ হয় রহমতগঞ্জ।

ঠিক দুই মিনিট পর আরেকটি দারুণ সুযোগ তৈরি করে রহমতগঞ্জ। সানডের পাসে ডি-বক্সের ভেতর থেকে নিচু জোরালো শট নেন ফিলিপ আদজাহ। পা দিয়ে দারুণভাবে তা রুখে দিয়ে দলকে বিপদমুক্ত করেন গোলকিপার সোহেল।

রাফায়েলহীন আবাহনীর মাঝমাঠ ছিল ছন্নছাড়া। আক্রমণেও ছিল না ধার। তবে ম্যাচের ২৮ মিনিটে স্রোতের বিপরীতে সবচেয়ে বড় সুযোগটা হাতছাড়া করে ফেলে আবাহনী।

জুয়েল রানার হেডে বল পেয়ে সিক্স ইয়ার্ডের সামনে থেকে রহমতগঞ্জের গোলকিপার তুষারকে পরাস্ত করা সম্ভব হয়নি নবীব নেওয়াজ জীবনের পক্ষে। বল মেরে দেন গোলপোস্টের বেশ ওপর দিয়ে। সমর্থকদের প্রতিক্রিয়া বলে দিচ্ছিল সুযোগটা মুখে তুলে দেয়ার মতো ছিল।

আক্রমণ ধরে রাখে রহমতগঞ্জ। তার ধারাবাহিকতায় এবার ম্যাচের ৪৩ মিনিটে লিড নেয়ার সুবর্ণ সুযোগ খুইয়ে দেয় পুরান ঢাকার জায়ান্টরা। ডি-বক্সের কাছাকাছি অবস্থান থেকে জাল খুঁজে পায়নি সানডের শট।

এমন মিসের পরের বার হতাশ করেনি আবাহনী। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে কলিনদ্রেসের গোলে স্রোতের বিপরীতে কাঙ্ক্ষিত গোল পেয়ে যায় আবাহনী। রাকিবের পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেয়া নিখুঁত শটে বল জালে জড়ান কোস্টারিকান।

বিরতির পর ছিল অগোছাল ফুটবল। ছন্দহীন পরিস্থিতিতে ম্যাচের ৬৪ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে আবাহনী।

বাঁ প্রান্ত থেকে ফয়সালের ক্রস ফিস্ট করেন রহমতগঞ্জের গোলকিপার তুষার। ফিরতি বল ফাঁকায় পেয়ে যান আবাহনীর রাকিব। বাঁ পায়ে নিখুঁত শটে বল জালে জড়ান এ ফরোয়ার্ড।

দুই গোল পিছিয়ে পড়ে যেন গা ঝাড়া দিয়ে ওঠে রহমতগঞ্জ।

দ্বিতীয় গোলের ঠিক ছয় মিনিট পর ব্যবধান কমিয়ে ম্যাচে ফেরে জিলানী বাহিনী। শাহরিয়ার বাপ্পীর পাসে বল পেয়ে ডি-বক্সের ভেতর থেকে গোল করেন ফিলিপ আদজাহ।

এর পর ম্যাচে সমতায় ফেরা হয়নি রহমতগঞ্জের। জয় নিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করে আবাহনী। এ শিরোপার মধ্য দিয়ে এএফসি কাপের টিকিট নিশ্চিত করল তারা।

এ মৌসুমে ট্রেবল জেতার সুবর্ণ সুযোগ পাচ্ছে আবাহনী। প্রিমিয়ার লিগ জিতলে ট্রেবল নিশ্চিত হবে মারিও লেমসের। কখনও লিগ জেতা হয়নি আবাহনীর এ পর্তুগিজ কোচের।


সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh