ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২২, ১০:০৮ এএম
ফাইল ছবি
নিয়োগকারীদের আবেদন প্রক্রিয়া দ্রুত করতে মালয়েশিয়া সরকার মধ্যস্থতাকারী বা তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে কোনও অর্থ প্রদান না করার পরামর্শ দিয়েছে।
মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ বিষয়কমন্ত্রী এম. সারাভানান বিদেশি কর্মীদের নিয়োগ ও কর্মসংস্থানের বিষয়ে এক বিবৃতিতে বলেন, দায়িত্বহীন পক্ষের দ্বারা জালিয়াতিরোধে এটি করা হয়েছে।
মন্ত্রী নিয়োগকর্তাদের মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, যারা বিদেশি কর্মী নিয়োগ করতে চান তাদের নিজস্ব চাহিদার ভিত্তিতে আবেদন জমা দিতে পারবেন।
যেসব নিয়োগকর্তারা বেসরকারি কর্মসংস্থান সংস্থাগুলোর পরিষেবা ব্যবহার করেন তাদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে সংস্থাটি নিবন্ধিত ও ব্যক্তিগত কর্মসংস্থান সংস্থা আইন ১৯৮১ এর অধীনে জনশক্তি বিভাগ দ্বারা প্রত্যয়িত লাইসেন্স রয়েছে।
গত বছরের ১০ ডিসেম্বর মালয়েশিয়ার মন্ত্রিসভার বৈঠকে সব কর্মসংস্থান খাতে বিদেশি শ্রমিকদের প্রবেশের অনুমোদন দেয়া হয়।
অনুমোদিত খাতগুলো হলো কৃষি, উৎপাদন, পরিষেবা, খনি ও খনন, নির্মাণ ও গৃহকর্মী। এর আগে বিশেষ ছাড়সহ ৩২ হাজার বিদেশি শ্রমিককে বৃক্ষরোপণ খাতে নিয়োগের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়।
বিবৃতি অনুযায়ী, এই সব বিদেশি কর্মীদের জন্য স্থায়ী অপারেটিং প্রসিডিউর মেনে চলতে হবে। গত ১৪ ডিসেম্বর কোভিড-১৯ নিয়ে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে বিষয়টি অনুমোদিত হয়।
গত ১৯ ডিসেম্বর শ্রমিক নিয়োগে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে। এই চুক্তির ফলে প্রায় তিন বছর বন্ধ থাকার পর ফের উন্মুক্ত হচ্ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার।
দীর্ঘ তিন বছর বন্ধ থাকার পর গত ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে অনুমোদন দেয় মালয়েশিয়া। দেশটির সব সেক্টরে কর্মী নেওয়ার অনুমোদন দেয় মালয়েশিয়ার মন্ত্রিপরিষদ। বিশেষ করে গৃহকর্মী, বাগান, কৃষি, উৎপাদন, পরিষেবা, খনি ও খনন এবং নির্মাণ খাতে বাংলাদেশি কর্মী নেবে দেশটি।