ভরা মৌসুমেও চড়া দামে সবজি

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২২, ০১:০২ পিএম

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

ভরা মৌসুমেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। সপ্তাহের ব্যবধানে শশার দাম বেড়েছে প্রায় তিনগুণ। সেই সাথে দাম বেড়েছে ফুলকপি ও শিমের। দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে চাল ও ডিম।

অস্বাভাবিক দাম বাড়ার পর গেল সপ্তাহে রাজধানীর বাজারগুলোতে মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে কমেছে ২৫ টাকা। আর পাকিস্তানি কক বা সোনালী মুরগি দাম কেজিতে কমেছে ৮০ টাকা পর্যন্ত।

শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা শশার কেজি বিক্রি করছেন ৬০ থেকে ৮০ টাকা। গত সপ্তাহে শশার কেজি ছিল ২৫ থেকে ৩০ টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে শশার দাম বেড়ে প্রায় তিনগুণ হয়েছে।

মোহাম্মাদপুর কৃষি মার্কেট বাজারের একজন চাল বিক্রেতা বলেন, হঠাৎ করেই বাজারে শশার সরবরাহ কমে গেছে। আজ বাজারে শশা অনেক কম এসেছে। এ কারণে এমন দাম বেড়েছে। তবে আমাদের ধারণা শশার এই দাম বেশি দিন থাকবে না। অল্প সময়ের মধ্যেই শশার দাম কমে যাবে।

শশার পাশাপাশি গেলো এক সপ্তাহে বেড়েছে ফুলকপির দাম। গত সপ্তাহে ৩০ থেকে ৪০ টাকা পিস বিক্রি হওয়া ফুলকপির দাম বেড়ে ৪০ থেকে ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এর সঙ্গে বেড়েছে শিমের দাম। শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে।

এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে দাম অপরিবর্তিত রয়েছে পাকা টমেটো, গাজর, মুলা, শালগমের। গত সপ্তাহের মতো পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। গাজরের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। মুলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শালগমের (ওল কপি) কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা।

এছাড়া বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা। লালশাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকা, মুলাশাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আর পালংশাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। এগুলোর দামও সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে।

বাজারে বেড়েছে চালের দাম। এসব বাজারে নাজিরশাইল চালে কেজিতে বেড়েছে ১ টাকা। নাজিরশাইল চাল কেজি ৭১ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিনিকেট চালে প্রতি কেজিতে ১ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা, আটাশ চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ১ টাকা। আটাশ চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৩ টাকা। 

আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে মুসুর ডাল। দেশি ডালের কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা। ইন্ডিয়ান ডাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা।  

এসব বাজারে ভোজ্যতেলের প্রতি লিটার খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের তেলের লিটারও বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়।

বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। আটা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়।  

বাজারে বেড়েছে ডিমের দাম। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। সোনালী (কক) মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকায়।  

বাজারে কমেছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা। গতসপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির কেজি ছিল ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা। ১০ টাকা দাম কমে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়। গত সপ্তাহে সোনালি মুরগির কেজি ছিল ২৭০ টাকা। 

মাছবাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে কাতল মাছ। শিং ও টাকি মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা। শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। তেলাপিয়া ও পাঙাশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা।

এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা। ছোট ইলিশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। নলামাছ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি। সপ্তাহের ব্যবধানে মাছের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh