করোনায় গুরুতর অসুস্থ বা মৃত্যুর জন্য দায়ী জিন শনাক্ত

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০২২, ১০:৩৩ এএম

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

করোনাভাইরাস কারও কারও ক্ষেত্রে যতটা ভয়াবহ হয়ে ওঠে অন্যের ক্ষেত্রে ততটা নয়। মানুষ থেকে মানুষে কেন কোভিড সংক্রমণের এই বৈষম্য তার অন্যতম কারণ খুঁজে পাওয়া গেছে। 

এই প্রথম হদিশ মিলল মানবদেহে থাকা এমন একটি জিনের যা কোভিডের ভয়াবহ হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। জিনটির উপস্থিতি ও অতি সক্রিয়তা কোভিডের ভয়াবহ হয়ে ওঠার আশঙ্কা কয়েক গুণ বাড়িয়ে তোলে। 

করোনা আক্রান্তদের গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়া বা মারা যাওয়ার ঝুঁকি দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেওয়া জিনটি আবিষ্কার করেছেন পোল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা।

আরও উদ্বেগের বিষয় হলো, গবেষণায় দেখা গেছে, ভারতীয় নাগরিকদের ২৭ শতাংশের শরীরেই এই জিনটি রয়েছে। আর তা রয়েছে অতি সক্রিয় অবস্থাতেই।

পোল্যান্ডের মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব বায়ালিস্টকর জিন বিশেষজ্ঞদের গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘নেচার জেনেটিক্স’এ।

বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, এই গবেষণার ফলাফল কোন রোগীর ক্ষেত্রে কোভিডের ভয়াবহ হয়ে ওঠার আশঙ্কা বেশি তা চিকিৎসকদের আগেভাগে বুঝতে সাহায্য করবে।

বায়ালিস্টকর মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, করোনায় মৃত্যুঝুঁকি বাড়ানো জিন পোলিশ জনগোষ্ঠীর ১৪ শতাংশের মধ্যে উপস্থিত থাকতে পারে। ইউরোপের দেশগুলো হার ৮-৯ শতাংশ এবং ভারতে আনুমানিক ২৭ শতাংশ মানুষের মধ্যে এর দেখা মিলতে পারে।

পোল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অ্যাডাম নিঝেলস্কি বলেছেন, গত দেড় বছরের গবেষণায় এই প্রথম এই জিনটি খুঁজে পাওয়া গেছে। এর ফলে কোভিড কার ক্ষেত্রে ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে তা অনেক আগেভাগেই বুঝতে পারবেন চিকিৎসকরা।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, যারা কোভিড টিকা নিতে তেমন উৎসাহ এখনও দেখাচ্ছেন না তাদের দেহে এই জিন থাকলে তাদেরও টিকা নেওয়ার ব্যাপারে উৎসাহী করে তোলা যাবে। তাতে সার্বিক টিকাকরণের কাজও ত্বরান্বিত হতে পারে। আবার কোভিড রোগীদের সঠিক চিকিৎসাও অনেক আগেই শুরু করা যাবে।

গবেষকরা দেখেছেন, বয়স, শরীরের ওজন ও লিঙ্গভেদের (পুরুষদের ক্ষেত্রে কোভিড বেশি ভয়াবহ হয়ে উঠতে দেখা যাচ্ছে) পর সদ্য হদিশ মেলা এই মানব জিনটির ভূমিকা খুবই গুরুত্বর্ণ হয়ে উঠছে কোভিডের ভয়াবহ হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে।

গত বছর যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় এমন আরও একটি জিনের সন্ধান মিলেছিল, ব্রিটেনে ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছনো কোভিড রোগীদের বেশিরভাগেরই শরীরে যার সক্রিয়তা ছিল চোখে পড়ার মতো। -আনন্দবাজার পত্রিকা

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh