আসনের চেয়ে বেশি যাত্রী নিয়ে চলছে বাস

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০২২, ০৪:০০ পিএম

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

করোনা সংক্রমণ বাড়ায় সরকার প্রথমে ভাড়া না বাড়িয়েই লঞ্চ, ট্রেন ও বাসে অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের নির্দেশনা দেয়। পরে মালিক-শ্রমিকদের আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে তা থেকে সরে এসে ‘যত সিট তত যাত্রী’ নিয়ে গণপরিবহন চলাচলের নির্দেশনা দেয়া হয়। এতে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানারও ঘোষণা দেয় মালিকপক্ষ। ঘোষণার দুদিন পরেও বিধিনিষেধ পুরোপুরি কার্যকর হয়নি গণপরিবহনে। 

শনিবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে সরকারি ছুটির দিনে সড়কে যাত্রীর চাপ কিছুটা কম। এতে কিছু বাসে ‘যত সিট তত যাত্রী’ নিয়ম পরিপালন হলেও অনেক বাসেই তা মানা হচ্ছে না। কোথাও কোথাও দাঁড়িয়েও যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে।

সকালে নগরীর সায়েদাবাদ, যাত্রবাড়ি, মালিবাগ, মৌচাক, ফকিরাপুল, পল্টন, দৈনিক বাংলা, গুলিস্তান, শাহবাগ, ফার্মগেটসহ বিভিন্ন এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে। এসময় প্রায় প্রতিটি পরিবহনে আসনের শতভাগ যাত্রীর পাশাপাশি দাঁড়িয়েও অনেককেই করতে দেখা গেছে। অধিকাংশ যাত্রীই মুখে ছিলো না মাস্ক। চালক থেকে শুরু করে হেলপারদের মুখেও মাস্ক দেখা যায়নি। হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতেও দেখা যায়নি কোনো গণপরিবহনে।

তানজিল পরিবহনের হেলপার কামাল মিয়া বলেন, সব আসনে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। মালিক সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে সরকার সব আসনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী পরিবহনের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। তবে সব আসন ভর্তি হয়ে যাওয়ার পরেও অনেক যাত্রী জোর করে বাসে উঠে যায়। তখন তাদের আমরা নামাতে পারি না।

বাসে দাঁড়িয়ে থাকা এক যাত্রী বলেন, সকালে অফিস থাকে। এমনি রাজধানীতে গণপরিবহনের সংকট, তার ওপর এই বিধিনিষেধ। অফিসে দেরি হলে জরিমানা গুণবে কে? সরকার আগে অফিসের সময় শিথিল করুক, তারপরও এ বিষয়ে ভাবা যাবে।

গত ১৩ জানুয়ারি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শতভাগ যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চালাবে মালিক সমিতি। সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ জানান, শতভাগ আসনে যাত্রী পরিবহন নিয়ে মন্ত্রণালয়ের সাথে মৌখিক নির্দেশনা রয়েছে। সরকারের সে নির্দেশনা আমরা সকল মালিকপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছি।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh