মোহাম্মদ তারেক
প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২২, ০২:১৭ পিএম
এলিনা শাম্মী
অভিনেত্রী ও উপস্থাপিকা এলিনা শাম্মী। শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত ‘বঙ্গবন্ধু’ ছবিতে অভিনয় করেছেন। চলতি মাসে মুক্তি পেতে যাওয়া ইফতেখার শুভ পরিচালিত ‘মুখোশ’ ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে তাকে। নিজের ব্যস্ততা ও অন্যান্য বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি।
সবকিছু ঠিক থাকলে ২১ জানুয়ারি মুক্তি পাবে ‘মুখোশ’। এ ছবিতে আপনার চরিত্রটি কেমন হয়েছে?
ছবিতে আমি একজন উঠতি চিত্রনায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করেছি, যে ক্যারিয়ারের জন্য সব করতে পারে। ভালো চরিত্রের জন্য নানা শ্রেণির লোকের সঙ্গে যোগাযোগ করে। সে সুপারস্টার হবার স্বপ্ন দেখে। তাকে দিয়ে অনেকেই নিজের কাজ হাসিল করিয়ে নেয়। চরিত্রে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুটি শেডই আছে। ছবিতে কিছু টুইস্ট আছে, যা দেখলে দর্শক মজা পাবেন।
এ ছবিটি নিয়ে কী প্রত্যাশা করছেন?
গুণী অভিনয়শিল্পীর সমন্বয়ে ছবিটি নির্মাণ করা হয়েছে। গল্পটি চমৎকার। শিল্পীসহ সংশ্লিষ্ট সবাই প্রচুর কষ্ট করেছেন। কনকনে শীতে কাজ করেছি। ছবিটি নিয়ে প্রত্যাশা অনেক বেশি। সফলতা আসুক, সে আশা করছি।
বর্তমান ব্যস্ততা কী নিয়ে?
গত বছরের রেশ ধরে এ বছরও ব্যস্ততা অনেক। কিছু ছবির কয়েক লট কাজ বাকি। সেগুলো পর্যায়ক্রমে শেষ হবে। বছর শুরু করলাম শিহাব শাহীনের নির্দেশনায় চরকির ‘সিন্ডিকেট’ ওয়েব সিরিজের মাধ্যমে। গত বছর শ্যাম বেনেগালের ‘বঙ্গবন্ধু’ ছবিতে অভিনয় ছিল অসাধারণ অভিজ্ঞতা। বেগম খালেদা জিয়ার চরিত্রে অভিনয় করেছি।
এ ছাড়া রায়হান রাফির ‘জানোয়ার’ ওয়েব ফিল্মের জন্য দর্শকের প্রচুর ভালোবাসা পেয়েছি। অনন্য মামুনের ‘কসাই’ ও অরণ্য পলাশের ‘গন্তব্য’র জন্য সবাই সাধুবাদ জানিয়েছেন। এ বছর রকিবুল আলম রকিবের ‘ভাইয়ারে’, মুশফিকুর রহমান গুলজারের ‘টুঙ্গিপাড়ার দুঃসাহসী খোকা’, মির্জা শাখাওয়াত হোসেনের ‘অপুর বসন্ত’, তানভীর হাসানের ‘মধ্যবিত্ত’, অপূর্ব রানার ‘জলরঙ’ ও বন্ধন বিশ্বাসের ‘ছায়াবৃক্ষ’ মুক্তি পেতে পারে। এর বাইরে কয়েকটি ওয়েব ফিল্ম ও সিনেমার কথা চলছে।
নাটকের ব্যস্ত অভিনয়শিল্পী ছিলেন। এখন আপনাকে ওয়েব প্ল্যাটফর্ম ও সিনেমার কাজে দেখা যাচ্ছে। কারণ কী?
দেশে ভালো গল্পের নাটক হচ্ছে। তবে বাজেট ও সময়ের স্বল্পতা থাকে। যে কারণে একটি চরিত্র নিয়ে প্রস্তুতি নেওয়া যায় না। পোশাক বদলেই দৃশ্যে চলে যেতে হয়। গতানুগতিক সংলাপ মুখস্ত করে অভিনয় করতে পারি না। আমাকে একটি চরিত্রে ঢুকতে হয়। এ সময়ের নাটকে তা সম্ভব হয় না। অন্যদিকে ওয়েব ফিল্ম ও সিনেমার কাজে সে সুযোগ পাওয়া যায়। তাই ইদানীং ওয়েব ও সিনেমার কাজ বেশি করা হচ্ছে। তবে ভালো গল্প ও অন্যান্য বিষয় মিলে গেলে নাটকেও কাজ করব।
একসময় উপস্থাপনা করতেন নিয়মিত। এখন সেভাবে দেখা যায় না কেন?
দীর্ঘদিন একাধারে বেশ কয়েকটি চ্যানেলে উপস্থাপনা করেছি। এখন সেসব অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে যাই। খেয়াল করে দেখেছি, অধিকাংশ অনুষ্ঠানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। এমনো হয়েছে আমি নিয়মিত উপস্থাপনা করলেও উৎসবের বিশেষ পর্বে উপস্থাপনার অভিজ্ঞতা নেই, এমন জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পীকে দিয়ে উপস্থাপনা করা হচ্ছে। তাই গতানুগতিক অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করতে ইচ্ছে করে না। অভিনয়ের জন্য সময়ও মিলে না। তবে বিশেষ দিনের অনুষ্ঠান ও ঢাকার মধ্যে কোনো ইভেন্ট থাকলে উপস্থাপনা করছি।
নতুন বছরের প্রত্যাশা কী?
যে ধরনের কাজ করছি, সেগুলো ভালো করে যেন শেষ করতে পারি। এ ঘরানার কাজ বেশি করে করতে চাই। আরেকটি বিষয় বলতে চাই। আমাদের প্রায় ১২০০ শিল্পী আছেন। তারা সিন্ডিকেটের জন্য কাজের সুযোগ পায় না। কয়েকজন শিল্পীকে নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। আমি চাই এ সিন্ডিকেট ভেঙে যাক। সবাই কাজের সুযোগ পাক।