ওমিক্রন
প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২২, ১১:৩১ এএম
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন (ডানে) ও তার সঙ্গী ক্লার্ক গেফোর্ড
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ ঠেকাতে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন। আর এই বিধিনিষেধের কারণে বাধ্য হয়েই নিজের বিয়েও বাতিল করেছেন তিনি।
স্থানীয় সময় আজ রবিবার (২৩ জানুয়ারি) জেসিন্ডা এ ঘোষণা দিয়েছেন।
দেশটিতে ওমিক্রন ঠেকাতে নতুন বিধিনিষেধ আগামীকাল সোমবার (২৪ জানুয়ারি) থেকে কার্যকর হবে।
নতুন বিধিনিষেধে দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন- এমন ১০০ জনকে কোনও অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে নিউজিল্যান্ড সরকার।
কিন্তু একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এক শহর থেকে অন্য শহরে যাওয়ার পথে এক পরিবারের ৯ জন ওমিক্রনে সংক্রমিত হন। ওই পরিবার যে উড়োজাহাজে ভ্রমণ করেছিল, সেখানকার একজন কর্মীও আক্রান্ত হয়েছেন। এরপর নিউজিল্যান্ডে বিধিনিষেধ জারি করা হয়।
ডেল্টা ধরনের তুলনায় ওমিক্রন বেশি সংক্রামক। তবে ওমিক্রনে সংক্রমিত হলে গুরুতর অসুস্থতার হার কম। নিউজিল্যান্ডে ভিড় কমানো, গণপরিবহন, দোকানে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
বিধিনিষেধ সম্পর্ক বিস্তারিত জানিয়ে জেসিন্ডা বলেন, আমার বিয়েও হবে না। মহামারির ঠেকাতে বিধিনিষেধের কারণে এ ধরনের অভিজ্ঞতা এর আগে যাদের হয়েছে, আমিও তাদের দলে যোগ দিলাম। আমি খুবই দুঃখিত।
জেসিন্ডা ও তার দীর্ঘদিনের সঙ্গী ক্লার্ক গেফোর্ড এর আগে কখনও বিয়ের তারিখের ঘোষণা দেননি। তবে ধারণা করা হয়েছিল আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তারা বিয়ের তারিখ ঘোষণা করবেন। নতুন বিধিনিষেধের কারণে আগামী মাসের পরে তাদের বিয়ের তারিখ ঘোষণা করা হতে পারে।
বিয়ের পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ায় পর জেসিন্ডা বলেন, জীবন এমনই। নিউজিল্যান্ডের হাজারো নাগরিকের থেকে আমি আলাদা নই। মহামারির কারণে অনেকের জীবনে হয়তো আরও বড় প্রভাব পড়েছে। গুরুতর অসুস্থতার সময় প্রিয়জনের পাশে থাকতে না পারা সবচেয়ে বেশি দুঃখের।
মহামারির শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডে ১৫ হাজার ১০৪ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৫২ জনের। গত দুই বছরের বেশির ভাগ সময় দেশটিতে সীমান্তে কঠোর বিধিনিষেধ ও লকডাউন চলেছে। -এএফপি ও আল জাজিরা