নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০২২, ০৩:২২ পিএম
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। ছবি : সংগৃহীত
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখাসহ সব অফিসে অর্ধেক জনবল নিয়ে পরিচালনার মতো বিধিনিষেধ চলছে। বিধিনিষেধ আরও বাড়ানো হবে কিনা তা জানা যাবে এক সপ্তাহ পর।
আজ সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
অর্ধেক কর্মকর্তা-কর্মচারী দিয়ে অফিস চালানোর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেহেতু গতকাল রাতেই সিদ্ধান্ত হলো, তাই পুরোপুরি বাস্তবায়নে দুই-একদিন সময় লাগবে। এর আগেও প্রাকটিস ছিল এভাবে অর্ধেক সংখ্যা নিয়ে অফিস করা। তাই এবার এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সমস্যা হবে না।
তিনি বলেন, সরকারের প্রধান লক্ষ্য করোনা সংক্রমণ কমিয়ে আনা। বাইরে মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে।
আগামী ৬ ফেব্রুয়ারির পর এই বিধিনিষেধ বাড়তে পারে কিনা- সাংবাদিকরা জানতে চাইলে ফরহাদ হোসেন বলেন, অবশ্যই পরিস্থিতি বিবেচনা করে। কারণ আমাদের সচেতনতার ওপরে, এখন যে ভ্যারিয়েন্টটা দেখছি ওমিক্রন, সেটা সেরে উঠতে অল্প সময় নিচ্ছে। রিকভারি রেট কিন্তু খুবই ভালো। ৮৫ শতাংশের বেশি সংখ্যক আক্রান্ত মানুষ ঘরে থেকে ট্রিটমেন্ট নিতে পারছেন এবং তারা সেরে উঠছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই আগামী এক সপ্তাহ পর দেখব এটা কী পর্যায়ে আছে, সেই অনুযায়ী আমরা পরবর্তী নির্দেশনা দেব। ’
তিনি আরও বলেন, আমরা জনসাধারণকে বলবো, আপনারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন। সবাইকে মাস্ক পরে বাইরে আসতে হবে। আমাদের অ্যানাউন্সমেন্টে বলা হবে আপনারা মাস্ক পরেন। একটা ডেট দেওয়া হবে যে, আগামীকাল থেকে মোবাইল কোর্ট নামবে। তাই আগে থেকে সতর্ক করে নিয়েই কিন্তু মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য সবাই মাস্ক পরুক। এই সময়টা আমরা অতিক্রম করতে চাই। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন- আগামী ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি নাগাদ এটি বাড়তে থাকবে। সবাইকে সচেতন হতে হবে। আমরা চাই, এই তৃতীয় ঢেউ থেকে যত তাড়াতাড়ি উত্তোরণ করতে পারি। সেজন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলা করতে হবে।