বর্ষসেরা ওয়ানডে খেলোয়াড় বাবর আজম

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০২২, ০৪:২২ পিএম

বাবর আজম

বাবর আজম

বর্ষসেরা ওয়ানডে খেলোয়াড় হওয়ার দৌড়ে ছিলেন সাকিব আল হাসান, দক্ষিণ আফ্রিকার ইয়ানেমান ম্যালান আর আয়ারল্যান্ডের পল স্টার্লিংও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আইসিসির বর্ষসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটারের দৌড়ে পাকিস্তানের বাবর আজমের কাছে হার মানতে হলো সাকিব-ম্যালান-স্টার্লিংকে। আইসিসি ওয়ানডের বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে বাবরের নাম ঘোষণা করেছে।

২০২১ সালে পাকিস্তান ক্রিকেটে দারুণ সময়ই কেটেছে, সে পথে অধিনায়ক হিসেবে দারুণ দেখানো বাবরের বছরটা ব্যাট হাতেও এক কথায় ছিল দুর্দান্ত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বছর ছিল বলে গত বছরে টি-টোয়েন্টির দিকেই ঝোঁক বেশি ছিল দলগুলোর, এর মধ্যেই ৬ ওয়ানডেতে ৬৭.৫০ গড়ে ৪০৫ রান করেছেন বাবর। ছয় ম্যাচেই দুটি শতকও হাঁকিয়েছেন।

বছরে কেবল দুটি সিরিজই খেলেছে পাকিস্তান, একটি দক্ষিণ আফ্রিকায়, অন্যটি ইংল্যান্ডে। দক্ষিণ আফ্রিকায় ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে পাকিস্তান, সিরিজে পাকিস্তানের দুই জয়েই ম্যাচসেরা ছিলেন বাবর। প্রথম ওয়ানডেতে ২৭৪ রান তাড়া করে পাকিস্তানের জয়ের পথে শতক হাঁকিয়েছেন, সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডেতে পাকিস্তানের জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছেন ৮২ বলে ৯৪ রানের ইনিংসে।

তবে ইংল্যান্ডের মাটিতে পাকিস্তান ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই হলেও সে সিরিজেও পাকিস্তানের হয়ে একা যা লড়েছেন বাবরই। তিন ম্যাচে ১৭৭ রান করেছেন, যেখানে পাকিস্তানের আর কোনো ব্যাটসম্যান সিরিজে ১০০ রান করতে পারেননি।

বার্মিংহামে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে পাকিস্তান ৩৩১ রান করেও হেরে গেছে, তবে দলের অর্ধেকের কাছাকাছি রানই করেছেন বাবর। ম্যাচে ১৫৮ রান তাঁর ওয়ানডে ক্যারিয়ারেরই সেরা!

আইসিসির বর্ষসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটারের পুরস্কার পাওয়ার পর সেই ইনিংসের কথাই আলাদা করে বলেছেন বাবর, ‘আমাকে সেরা ইনিংস বেছে নিতে বললে আমি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যে ১৫৮ রান করেছিলাম সেটির কথা বলব। আমার সর্বোচ্চ ইনিংসও সেটি। আমার কাছে ওই ইনিংসকে আমার ক্যারিয়ারেরই সেরা মনে হয়। সে সময়ে আমি কিছুটা ভুগছিলাম, একটা বড় ইনিংস দরকার ছিল। সেটি পেয়েছি ওই ইনিংসে, যেটি কিনা আমাকে অনেক আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে।’

ইনিংসের হিসেবে ইংল্যান্ডের মাটিতে ওই ইনিংস এগিয়ে থাকছে ঠিকই, তবে সিরিজের হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকায় ওই সিরিজের দিকেই বারবার বাবরের চোখ ফিরছে। আইসিসির পুরস্কার গ্রহণের পর ভিডিওবার্তায় পাকিস্তান অধিনায়ক বললেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানো খুব কঠিন একটা কাজ, কারণ সেখানকার উইকেট অন্যরকম, ওদের বোলিং বিভাগও দারুণ মানসম্পন্ন। সেখানে ফখর জামান, আমার ও ইমাম-উল-হকের পারফরম্যান্সে ভর করে আমরা সিরিজটা জিতেছিলাম।’

দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে সিরিজ জেতা অতিথি যেকোনো দলের জন্যই কতটা কঠিন, সেটা মাত্রই বিরাট কোহলির ভারত টের পেয়েছে। শুধু উপমহাদেশের দলই কেন, আফ্রিকান কন্ডিশনে ভুগতে হয় প্রায় সব দলকেই। 

সে কারণেই কি না, ওই সিরিজে জয় আলাদা ভালোবাসা পাচ্ছে বাবরের কাছে, ‘আমার লক্ষ্য হচ্ছে প্রত্যেক দেশে রান করে যাওয়া, প্রত্যেক প্রতিপক্ষের দেশে গিয়ে রান করা। (দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে) ওই সিরিজটা আমাদের এগিয়ে চলতে বেশ সাহস জুগিয়েছে। ওই জয়ে যে ছন্দটা খুঁজে পেয়েছিলাম, সেটি আমার দলকে আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে। আমাকে আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে, সেটা একজন খেলোয়াড় হিসেবে যেমন, তেমনি অধিনায়ক হিসেবেও।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh