প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১১:১৫ এএম
রাজেকুজ্জামান রতন
অনেক সমস্যাকে মোকাবেলা করে আর বিপুল সম্ভাবনাকে উজ্জ্বল করে সাম্প্রতিক দেশকাল নবম বর্ষে পা ফেলছে। প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকার জন্য সক্ষমতা লাগে, আর লাগে একাগ্রতা, হাল ছেড়ে না দেওয়ার দুর্দমনীয় প্রতিজ্ঞা। শুধু টিকে থাকা নয় বিকশিত হওয়ার ক্ষেত্রেও দেশকাল সে পরীক্ষা দিয়ে চলেছে। নবম বর্ষে পদার্পনে দেশকালের সকল কর্মীকে শুভেচ্ছা জানাই।
একের পর এক ইস্যু তৈরির দেশে সংবাদের গুরুত্ব বিবেচনা করতে গিয়ে দৈনিক পত্রিকাই যখন হিমশিম খায়, তখন সাপ্তাহিক পত্রিকার জন্য তা ভীষণ কঠিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। আবার সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশ করা যতটা কঠিন, তার চেয়েও বেশি কঠিন বছরের পর বছর পত্রিকা নিয়মিতভাবে প্রকাশ করা। সে কারণেই অনেক উৎসাহ নিয়ে বেশ খানিকটা হই চই ফেলে যত সাপ্তাহিক প্রকাশিত হয় তাদের প্রায় সবগুলোকেই নীরবেই বন্ধ হয়ে যেতে দেখা যায়। পত্রিকার এই অকালমৃত্যুর দেশে সাম্প্রতিক দেশকালের যাত্রাপথ নিশ্চয়ই ফুলে ছাওয়া ছিল না। কারণ পাঠককে সন্তুষ্ট করাই শুধু পত্রিকার কাজ নয়। পাঠকের আগ্রহ ধরে রাখা, নতুন খবরের প্রতি পাঠককে আগ্রহী করে তোলা, ভিন্ন ভিন্ন পাঠকের চাহিদাকে মনে রেখে সংবাদ বিন্যাস করা, রাজনৈতিক বিষয়াবলিকে যথাসময়ে উপস্থাপন করা আর বহুমতকে এক জায়গায় এনে পাঠককে বিচারকের স্থানে বসিয়ে দেওয়ার কাজে যোগ্যতা ও ধৈর্য দুটিই দরকার হয়। এই কাজটা বেশ দক্ষতার সঙ্গেই করে চলেছে সাম্প্রতিক দেশকাল।
১৬ পৃষ্ঠার পত্রিকা সাম্প্রতিক দেশকাল। স্বল্প পরিসরে বড় বড় বিষয়ের ওপর আলো ফেলার একটা দক্ষতা আছে এই পত্রিকার। বিষয় বৈচিত্র্য আর বহুমত এই পত্রিকার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এই বৈশিষ্ট্য অক্ষুণ্ণ রেখে গণমানুষের চিন্তা ও তৎপরতার সহযোগী হিসেবে সাম্প্রতিক দেশকাল এগিয়ে চলুক।
রাজেকুজ্জামান রতন
রাজনীতিবিদ ও লেখক