কাদের মির্জার বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল, ওসিসহ আহত ৭

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৯:৫৯ এএম | আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১০:১৪ এএম

 কাদের মির্জার বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল। ছবি : নোয়াখালী প্রতিনিধি

কাদের মির্জার বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল। ছবি : নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও সাবেক চেয়ারম্যান আনছার উল্লাহকে (৬৫) মারধর করার প্রতিবাদে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল হয়েছে।

তবে ঝাড়ু মিছিল পরবর্তী বিক্ষোভ সমাবেশ পুলিশী বাধায় পন্ড হয়ে যায়। 

গতকাল বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের বামনী বাজারে এ ঝাড়ু মিছিল করেন চেয়ারম্যান প্রার্থী কাদের মির্জার ভাগনে সিরাজিস সালেকিন রিমনের সমর্থকরা। তারা এ ঘটনার জন্য কাদের মির্জার বিচার দাবি করে স্লোগান দেন। 

এর আগে গতকাল দুপুর ২টার দিকে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডের চরকাঁকড়া গ্রামের মরহুম দর্জি ওবায়দুল হকের বাড়িতে কুলখানি অনুষ্ঠানে এ বিএনপি নেতা আনসার উল্লাহকে মারধর করার অভিযোগ উঠে মেয়র কাদের মির্জার বিরুদ্ধে। কুলখানি অনুষ্ঠানে মারধর করার খবর ছড়িয়ে পড়লে রামপুর ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষ ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

কাদের মির্জা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র। অভিযোগের বিষয়ে জানতে মেয়র কাদের মির্জার মুঠোফোনে একাধিক বার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

পুলিশ জানায়, কাদের মির্জার হাতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান লাঞ্ছিতের ঘটনায় সন্ধ্যায় বামনীতে কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ প্রার্থী ভাগনে সিরাজিস সালেকিন রিমনের সমর্থকরা ঝাড়ু মিছিল বের করে। পরে কাদের মির্জার ছেলে তাশিক মির্জার নেতৃত্বে তাদের সমর্থিত প্রার্থী ইকবাল বাহার চৌধুরী সমর্থকরা পাল্টা মিছিল বের করলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এসময় পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে সংঘর্ষকারীরা লাঠিসোটা নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে। এতে ওসিসহ সাত পুলিশ সদস্য আহত হন।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সাজ্জাদ রোমন জানান, বুধবার সন্ধ্যায় খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান নেয়। এসময় দুইপক্ষের সমর্থকদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ দুইপক্ষকে বামনী বাজার থেকে সরিয়ে দেয়। এসময় দুইপক্ষের লোকজন হামলা করলে আমিসহ সাত পুলিশ সদস্যকে আহত হন। 

তিনি আরও বলেন, তবে বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১৫০ জনকে আসামি করে  ‘পুলিশ অ্যাসল্ট’ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh