আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৯:২২ পিএম
বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা ইউক্রেন ত্যাগ করছেন। ছবি: সংগৃহীত
ইউক্রেনে
হামলা চালানোর পর সে দেশের নাগরিকদের
হত্যা কিংবা ক্যাম্পে ধরে নিয়ে যাওয়ার
তালিকা তৈরি করেছে রাশিয়া।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মার্কিন কর্মকর্তারা এ দাবি করেছেন
বলে স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান মিশেল ব্যাচলেটকে জেনেভায় জাতিসংঘে নিযুক্ত ওয়াশিংটনের দূত একটি চিঠি
দিয়েছেন। সেই চিঠিতে দাবি
করা হয়েছে, রাশিয়ার আক্রমণ-পরবর্তী পরিকল্পনায় রয়েছে নির্যাতন, গুম এবং 'ব্যাপকমাত্রায়
মানবিক দুর্ভোগ'।
রাষ্ট্রদূত
ওই চিঠিতে আরো অভিযোগ করেছেন,
ইউক্রেনে নির্বাসিত রুশ এবং বেলারুশিয়ান
ভিন্নমতাবলম্বী, সাংবাদিক, দুর্নীতিবিরোধী কর্মী এবং 'ধর্মীয় থেকে
শুরু করে জাতিগত সংখ্যালঘু
এবং সমকামীদের মতো দুর্বল জনগোষ্ঠী'
লক্ষ্যে পরিণত হবে।
চিঠিতে
আরো বলা হয়েছে, বিশেষ
করে কাদের হত্যা করা হবে, রুশ
বাহিনী সেসব ইউক্রেনীয়কে চিহ্নিত
করে তালিকা তৈরি করছে। তাঁদের
হত্যা করা হবে কিংবা
সামরিকভাবে দখলে নেওয়ার পর
ক্যাম্পে ধরে নিয়ে যাওয়া
হবে। আমাদের কাছে এ ব্যাপারে
বিশ্বাসযোগ্য তথ্য রয়েছে, সেই
তথ্য এসব আশঙ্কার ইঙ্গিত
দিচ্ছে।
তবে
ঠিক কোন প্রক্রিয়ায় এসব
তথ্য গোয়েন্দারা পেয়েছেন, সে ব্যাপারে কিছুই
বলা হয়নি।
এদিকে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেন
সংকট নিয়ে আলোচনা করতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট
ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একটি শীর্ষ বৈঠক
করতে 'নীতিগতভাবে' সম্মত হয়েছেন।
হোয়াইট
হাউস বলেছে, রাশিয়া তার প্রতিবেশী ইউক্রেনে
হামলা না করলেই শুধু
ফ্রান্সের প্রস্তাবিত এ আলোচনা হতে
পারে । ধারণা করা
হচ্ছে, বাইডেন-পুতিন বৈঠক কয়েক দশকের
মধ্যে ইউরোপের সবচেয়ে গুরুতর এই নিরাপত্তা সংকটের
একটি কূটনৈতিক সমাধানের পথ দেখাতে পারে।
মার্কিন
কর্মকর্তারা বলেছেন, তাদের গোয়েন্দা তথ্য বলছে, রাশিয়া
সামরিক অভিযান শুরু করতে সম্পূর্ণ
প্রস্তুত। যদিও এ কথা
মস্কো অস্বীকার করেছে। ইউক্রেনে হামলার পরিকল্পনার কথাও দেশটি বরাবরই
অস্বীকার করে আসছে। সূত্র : বিবিসি।