সূর্যমুখী ফুলে সফলতা পাচ্ছেন চাষিরা

মির্জা শহিদুল, সিরাজগঞ্জ

প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৩:৪৩ পিএম

সূর্যমূখী ফুল

সূর্যমূখী ফুল

বর্তমানে দেশে সূর্যমুখী পরিচিত একটি ফুল। এর তেল মানে-গুণে অনন্য। সারাবিশ্বেই এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। দেশেও সূর্যমুখীর চাষ শুরু হয়েছে ব্যাপক হারে। বাণিজ্যিকভাবে সুফল পাচ্ছে চাষিরা।

সিরাজগঞ্জ জেলায় সূর্যমূখী ফুলের চাষ দিনে দিনে বাড়েই চলেছে। ফুলে ফুলে ভরে গেছে ফসলের মাঠ। গত কয়েক বছরে সুর্যমূখী ফুল চাষে সাফল্য পেয়েছে ফুল চাষিরা। ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিনই দর্শনার্থীরা বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন দেখতে ও সেলফি তুলতে। 

জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার সদর, কামারখন্দ, বেলকুচি, চৌহালী, শাহজাদপুর, তাড়াশ, কাজীপুর, উল্লাপাড়া, রায়গঞ্জ উপজেলায় ২৬৪ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ হয়েছে। যেটার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২৮০ হেক্টর। কৃষি পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় সম্পূর্ণ বিনামূল্যেকৃষককে বীজ বিতরণ করা হয়েছে। প্রতি গাছে একটি করে ফুল আসে। বীজ বপনের পর ফসল সংগ্রহ করতে প্রায় তিন মাস সময় লাগে। হেক্টর প্রতি ১.৫ টন পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়।

সূর্যমুখীর তেল অন্যান্য রান্নার তেল হতে ভালো এবং হৃদরোগীদের জন্য বেশ কার্যকর। সূর্যমুখী চাষ করে শুরু থেকেই সফলতার মুখ দেখছেন কৃষকরা। যদি কোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় তাহলে সুর্যমুখী চাষ করে দ্বিগুণ লাভ করতে পারবেন। ফলে একদিকে উপকৃত হবে কৃষক অপর দিকে মিটবে সূর্যমুখী তেলের চাহিদা।

সদর উপজেলার কাওয়াকোলা চরের ইউসুফ আলী বলেন, যমুনার চরাঞ্চলের অধিকাংশ জমি পতিত অবস্থায় পড়ে থাকে। আমার পতিত ৪ বিঘা জমিতে এবার সূর্যমূখী ফুল চাষ করেছি। আবহাওয়া ভালো থাকায় ফলনও পেয়েছেন ভালো। প্রতি বিঘা জমিতে ৪ হাজার টাকা খরচ করে বিঘা প্রতি ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা লাভের আশা করছেন তিনি।

সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ আবু হানিফ জানান, জেলায় জমি সূর্যমুখী চাষের জন্য উপযোগী, এ বছর সূর্যমুখী ফুলের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২৮০ হেক্টর। আবাদ হয়েছে ২৬৪ হেক্টর। এবার রক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম হয়নি। বর্তমানে সূর্যমুখী ক্ষেতের যে অবস্থা তাতে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখছে কৃষক ও কৃষি বিভাগ।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh