বেনাপোল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৯:২০ পিএম | আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৯:৩২ পিএম
শ্বশি ভূষন বিশ্বাস
প্রতিবেশি দুই
পরিবারের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আরেক এক প্রতিবেশি নিহত হন। শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে
যশোরের বেনাপোলে
পোড়াবাড়ী নারায়নপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের
সূত্রে জানা গেছে, বিনয়
বিশ্বাস ও মনি ঠাকুরের
পরিবারের মধ্যে মারামারি
থামাতে গিয়ে ধাক্কাধাক্কির এক
পর্যায়ে তাদের প্রতিবেশি শশীভূষন বিশ্বাস (৭০)
নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই দুই
পরিবারের ছয় ব্যক্তিকে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা
জানান, শুক্রবার বিকাল
৩টার দিকে বিনয় বিশ্বাস
ও মনি ঠাকুরের পরিবারের
মধ্যে বাড়ির সামনে মাটি কাটাকে কেন্দ্র
করে কলহ বাধে। এক
পর্যায়ে উভয় পরিবারের মধ্যে মারামারি বেধে যায়। সে
সময় বিনয় বিশ্বাসের ছেলে শুভঙ্কর বিশ্বাস
ও আব্বাসের ছেলে বাবু পাইপ
দিয়ে মনি ঠাকুর ও
তার স্ত্রী মামনি ঠাকুরকে পেটাতে থাকে। এই সংঘর্ষ থামাতে প্রতিবেশিরা
ছুটে আসেন। তাদের মধ্যে শশীভূষন বিশ্বাসও ছিলেন। ধাক্কাধাক্কির এক পর্যায়ে শশীভূষন মাটিতে পড়ে
গেলে শশীভূষনের ছেলে বিপ্লব বিশ্বাস
মাটি থেকে তুলতে গেলে
বিনয় বিশ্বাস, ছেলে শুভঙ্কর বিশ্বাস
ও আব্বাসের ছেলে বাবু তাকে
পাইপ দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত
করেন।
ছেলেকে
মারতে দেখে শশীভূষন জ্ঞান হারান। পরে একটি
স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়ার
পর তিনি মারা যান।
কর্তব্যরত চিকিৎসক নিহতের কারণ জানাতে পারেননি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি হৃদরোগে
আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। জানা গেছে, তিনি আগে
থেকেই হৃদরোগের সমস্যায় ভুগছিলেন।
বিনয়
বিশ্বাস ও তার লোকজনের বিচারের দাবি জানিয়ে নিহতের ছেলে
বিপ্লব বিশ্বাস বলেন, মারামারির সময় তাদের লাঠির
আঘাত তার বাবার গায়ে লাগে। আঘাত পেয়েই তিনি মাটিতে লুটিয়ে পরেন।
বিনয়
বিশ্বাস বলেন, শুক্রবার সকালে মনি ঠাকুর তার
বাড়ির পাশ থেকে মাটি
কাটছিলেন। মাটি কাটতে নিষেধ
করায় মনি ঠাকুর ও
তার স্ত্রী ঝগড়া শুরু করেন। ঝগড়ার এক পর্যায়ে আমাদের
দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। সে
সময় শশীভূষন মারামারির
মাঝে এসে মাটিতে লুটিয়ে
পড়েন। তাকে কেউ আঘাত
করেনি।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভূইয়া জানান, ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিনয় বিশ্বাস ও তার ছেলে শুভঙ্কর বিশ্বাস, আব্বাস ও তার ছেলে বাবু, মনি ঠাকুর ও তার স্ত্রী মামনি ঠাকুরকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।