বাংলা সিনেমায় নায়ক, নায়িকা

প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২০২২, ০১:৪০ পিএম

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • নায়ক আলিশান বাড়িতে থাকলে নায়িকা থাকবে বস্তিতে। আর যদি নায়িকা ডুপ্লেক্স বাড়ির বারান্দায় কফির মগ নিয়ে বসে, সেই বাড়ির সামনের ঠ্যালা গাড়িতে বসে বিড়ি ফুঁকবে নায়ক।
  • তবে গরিব হোক আর ধনী, নায়ক-নায়িকা মানেই সর্ব বিষয়ে পারদর্শী। বিপদের সময় ঠ্যালা গাড়ি থেকে শুরু করে মার্সিডিজ পর্যন্ত চালাতে পারবে। 
  • একটা সময়ে নায়ক-নায়িকার সম্পর্ক শুরু হতো কলেজের সিঁড়িতে ধাক্কা খেয়ে। নায়িকা পাড়ার মাস্তানদের হাতে লাঞ্ছিত হবার পূর্ব মূহূর্তে উড়ে এসে নায়ককে এন্ট্রি নিতেও দেখা যায় অনেক সময়। যেভাবেই দেখা হোক, একজন আরেকজনকে দেখে ফিদা হয়ে যাবেই।
  • সিনেমার শুরুতে নায়ক অতি মাত্রায় ভদ্র, সহনশীল হয়ে ইচ্ছামত ধোলাই হবে। হস্তধৌত হবার পর রডের বাড়ি তারপর ছুরির উপর্যুপরি খোঁচা খেয়ে বোনাস হিসেবে দু’চারটা গুলিও খেতে পারে। উঁহু, কোনো ভয় নেই। ওতে কোনোকালে বাংলা সিনেমার কোনো নায়ক মরেনি, মরবেও না। নায়িকার নার্সিংয়ে তাজা হতে সময় লাগে না।
  • একটা পর্যায়ে এসে শুরু হবে নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি। বুক ফাটে তো মুখ ফোটে না অবস্থা। কষ্টাবস্থা কতদিন চলবে, সেটা নির্ভর করে সিনেমার লেন্থের ওপর। 
  • দু’জনের মধ্যে সাপে-নেউলে সম্পর্ক থাকলেও, বিরতির আগেই অবসান হবে ভুল বোঝাবুঝির। পরের দৃশ্যেই গানের সঙ্গে সর্প নৃত্যে দেখা যাবে দু’জনকে। সিনেমায় যে যত গরিবই হোক না কেন, গানের দৃশ্যে সবাই বড় লোক। একটার পর একটা পোশাক পাল্টে দেশ-বিদেশের কত স্পট যে ঘুরে আসবে! 
  • বিরতির পরেই শুরু হবে প্রতিশোধ। ভয়ংকর প্রতিশোধ। প্রয়োজন আইন জানে না। মূহূর্তে নায়কের হাতে চলে আসবে পিস্তল থেকে রকেট লঞ্চার পর্যন্ত। পুরো শত্রু বাহিনী একাই কয়লা বানিয়ে কলা খেতে খেতে ফিরবে। কেউ তাকে চড় দেওয়া তো দূরের কথা, জামা, কাপড়ে আঁচড়ও টানতে পারবে না।
  • অবশেষে টানটান সাসপেন্সে সিনেমা শেষ হবে নায়ক, নায়িকার কোলাকুলিতে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh