মেসবাহ উদ্দিন মিহির
প্রকাশ: ০৫ মার্চ ২০২২, ০২:৪৮ পিএম
ছবি: আনন্দবাজার পত্রিকা
রাস্তার মোড়ের ঝালমুড়ি, আচার কিংবা টঙের দোকানগুলোর দিকে একটু লক্ষ করলেই দেখা যায় ঝালমুড়ি, আচার, শিঙাড়া, চপ ইত্যাদি পরিত্যক্ত বই-খাতা কিংবা খবরের কাগজে মুড়ে পরিবেশন করছেন দোকানি। ক্রেতারাও এ প্রক্রিয়ায় খাবারের স্বাদ আস্বাদন করছেন। অথচ এ সামান্য অসচেতনতাই আমাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়িয়ে বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার পথ সুগম করে দেয়।
এ বিষয়ে ইতঃপূর্বে পত্র-পত্রিকায় অনেক লেখালেখি হলেও আমাদের সচেতনতা বিন্দুমাত্র বাড়েনি। ঝালমুড়িওয়ালা বা মুদি দোকানিরা যে কাগজগুলো ব্যবহার করছেন তা মূলত ছাত্রছাত্রীদের এক-দু’বছরের জমানো অপ্রয়োজনীয় কাগজপত্র। এসব বই-খাতার কাগজে ধুলো-বালি ও রোগ-জীবাণু জমে থাকে। তাছাড়া এসব বই বা খবরের কাগজে প্রিন্টিংয়ের জন্য ব্যবহৃত কালিতে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। স্বাস্থ্যসম্মত খাবারও যখন খবরের কাগজে কিংবা পুরোনো বইয়ের কাগজে পরিবেশন করা হয়, তখন খাবারের সঙ্গে কাগজে ব্যবহৃত কালি লেগে বদহজমসহ নানা রকম জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।
এমতাবস্থায় আমাদের সচেতনতাই পারে এ ভয়ংকর স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে নিরাপদ রাখতে। ক্রেতা ও বিক্রেতাকে এ বিষয়ে সতর্ক করতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। কর্তৃপক্ষের উচিত এ ধরনের বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া।
মেসবাহ উদ্দিন মিহির শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়